১২ বছর আগে বিশেষ চিঠিতে বাবা মহেশ ভাট কী লিখেছেন, প্রকাশ্যে আনলেন আলিয়ার দিদি

 আলিয়া ও শাহিন ভাটের জীবনেও তাঁর বাবা মহেশ ভাট এমনই একজন মানুষ। 

Updated By: Nov 30, 2019, 02:21 PM IST
১২ বছর আগে বিশেষ চিঠিতে বাবা মহেশ ভাট কী লিখেছেন, প্রকাশ্যে আনলেন আলিয়ার দিদি

নিজস্ব প্রতিবেদন: বাবা-মেয়ের সম্পর্ক বরাবরই আর পাঁচটা সম্পর্কের থেকে অনেকটাই আলাদা। হয়তো বা একটু বেশিই 'স্পেশাল'। সেকারণেই হয়ত বেশিরভাগ বাবা-ই তাঁদের সেরা জিনিসটাই মেয়েদের দেওয়ার চেষ্টা করেন। মেয়েদের কোনও স্বপ্নপূরণেই কোনও খামতি রাখেন না বাবারা। আলিয়া ও শাহিন ভাটের জীবনেও তাঁর বাবা মহেশ ভাট এমনই একজন মানুষ। 

আলিয়ার দিদি তথা লেখিকা শাহিন ভাটের কথায়, বাবা মহেশ ভাট তাঁকে সবসময়ই অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। মহেশজি সবসময়ই তাঁর মেয়ের উপর বিশ্বাস রেখেছেন, যে শাহিন ভীষণই প্রতিভাবান। তবে শুধু শাহিনই নন, মহেশ ভাট তাঁর তিন মেয়ের প্রতিভা ও যোগ্যতার উপরই বরাবর বিশ্বাস রেখেছেন। তা সে পরিচালক হিসাবে পূজা ভাটের দক্ষতার উপরই হোক, কিংবা আলিয়া এবং শাহিন ভাটের অভিনয় ও লেখার দক্ষতা। শাহিনের কথায়, বাবা মহেশ ভাট তাঁদের সবসময়ই অনুপ্রেরণা দিয়ে এসেছেন। 

আরও পড়ুন-রণবীর সিংয়ের সঙ্গে একের পর এক ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব ফেরাচ্ছেন দীপিকা!

 

শুক্রবারই নিজের ইনস্টাগ্রামে বাবা মহেশভাটের লেখা ১২ বছরের পুরনো একটি চিঠি শেয়ার করেছেন শাহিন ভাট। বাবার সেই চিঠি তাঁর কাছে অনুপ্রেরণা বলেই বর্ণনা করেছেন শাহিন। তাঁর লেখা সেই চিঠিতে মহেশজি লিখেছেন কেউ কোনওদিন ভাবেইনি এমনকি শাহিনও ভাবেনি যে ও একজন লেখিকা হবে। চিঠিটি শেয়ার করে শাহিন ক্যাপশানে লিখেছেন, চিঠিটি ১২ বছর আগে বাবা (মহেশ ভাট) আমার উদ্দেশে লিখেছিলেন, ''যখন আমার প্রথম বই প্রচুর পরিমানে বিক্রি হতে লাগলো বইয়ের দোকানগুলি থেকে। তখন আমার মনে হয়েছিল বাবা এক্কেবারেই ঠিক বলছেন।''

আরও পড়ুন-সিনেমার দুনিয়া থেকে অবসর নিচ্ছেন অমিতাভ বচ্চন?

 
 
 
 

 
 
 
 
 
 
 
 
 

 

তবে শুধু বাবা মহেশ ভাটেরই নন, শাহিন তাঁর বোন আলিয়ারও ভীষণ কাছের। গত ২৮ নভেম্বর শাহিনের জন্মদিন ছেলেবেলার একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন আলিয়া। ছবি শেয়ার করে আলিয়া লেখেন, ''আমার এই প্রতিভাবান বোনটির জন্মদিনে কী যে ক্যাপশান লিখব বুঝতে পারছিলাম না, কত বার টাইপ করার পরও মুছে দিলাম। তার কারণটা হল আমি তারকা হতে পারি, তবে ওর মতো এত অসাধারণ লিখতে পারি না। কথা বলার সময় আমরা এমন অনেক শব্দ ব্যবহার করি যার আসলে কোনও অর্থই দাঁড়ায় না। তবে লেখার বিষয়টা আলাদা।'' 

আরও পড়ুন-সম্পর্ক ও আবেগের মিশেলে জীবনের উত্থান-পতনের গল্প বলবে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, লিলি চক্রবর্তী এবং দেব-পাওলি জুটির 'সাঁঝবাতি'

প্রসঙ্গত ২০১৬ সালে সোনি রাজদান ও মহেশ ভাট প্রথম প্রকাশ্যে শাহিনের মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়া নিয়ে মুখ খোলেন। জানান, শাহিন কীভাবে ধীরে ধীরে এই অবসাদ কাটিয়ে উঠেছে। মানসিক অবসাদ, এবং মনস্তাত্বিক বিষয় নিয়েও শাহিন ভাটের লেখা একটি বইও রয়েছে বলে জানা যায়। 

.