৮টি হার্ডড্রাইভ নষ্ট করার পরই সুশান্তের বাড়ি ছাড়তে রাজি হন রিয়া! প্রকাশ্য়ে বিস্ফোরক তথ্য
৮ জুন সুশান্তের বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যান রিয়া চক্রবর্তী
নিজস্ব প্রতিবেদন : সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ঘটনায় এবার প্রকাশ্যে এল বড়সড় আপডেট। সূত্রের খবর, সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের সময় সিদ্ধার্থ পিটানি, দীপেশ সাওয়ান্ত এবং স্যামুয়েল মিরান্ডা স্বীকার করেছেন বেশ কিছু বড় তথ্য।
সিদ্ধার্থ, দীপেশ, স্যামুয়েলদের সেই দাবি অনুযায়ী, ৮ জুন রিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে সুশান্ত সিং রাজপুতের বড়সড় ঝামেলা হয়। এরপরই সুশান্তের ব্যান্দ্রার ফ্ল্যাট ছেড়ে চলে যান রিয়া। শুধু তাই নয়, সুশান্তের মৃত্যুর আগে অর্থাত ৮ জুন ৮টি হার্ডড্রাইভ নষ্ট করে দেওয়া হয়। সুশান্তের ফ্ল্যাটের মধ্যেই ওই ৮টি হার্ডড্রাইভ নষ্ট করা হয় বলে খবর। তবে ওই হার্ডড্রাইভের মধ্যে কী ছিল, সে বিষয়ে জানা যায়নি।
আরও পড়ুন : বলিউডের কোন কোন অভিনেতা মাদকের জালে জড়িয়ে? কঙ্গনার মন্তব্যে শোরগোল
সূত্রের খবর, সুশান্ত নিজের হাতে ওই ৮টি হার্ডড্রাইভ নষ্ট করে দেওয়ার পরই রিয়া অভিনেতার বাড়ি ছাড়তে রাজি হন। রিয়া এবং সুশান্তের ৮ জুনের ওই ঝামেলার সময় সেখানে দীপেশ সাওয়ান্ত এবং স্যামুয়েল মিরান্ডা হাজির ছিলেন বলেও খবর। আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন। কী ছিল ওই ৮টি হার্ডড্রাইভের মধ্যে! যদিও সে সম্পর্কে কোনও স্পষ্ট তথ্য ওই ৩ জন প্রকাশ করতে পারেননি বলে খবর।
১৪ জুন সুশান্তের মৃত্যুর পর থেকেই গোটা দেশ জুড়ে জোর শোরগোল শুরু হয়ে যায়। সুশান্ত যদি মানসিক অবসাদেই ভুগছিলেন, ওযুধ খাচ্ছিলেন, তাহলে কেন তাঁকে ছেড়ে ৮ জুন বেরিয়ে যান রিয়া! যদিও রিয়া পালটা দাবি করেন, তিনি সুশান্তকে ছেড়ে যেতে চাননি। অভিনেতার দিদি সেখানে যাবেন বলেই রিয়া সুশান্তের বাড়ি ছেড়ে চলে যান বলে দাবি করেন অভিনেত্রী।
আরও পড়ুন : গাঁজা ছাড়তে চাইছিলেন সুশান্ত, রিয়ার নির্দেশেই অভিনেতাকে ফের মাদক দেওয়া শুরু হয়!
এদিকে রিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে মাদক চক্রের যোগ রয়েছে। সম্প্রতি জয়া সাহা নামে এক মহিলার সঙ্গে রিয়ার হোয়াটস অ্যাপের চ্যাট প্রকাশ্যে আসার পর জোর শোরগোল শুরু হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, রিয়ার ভাই সৌভিকের বন্ধু গৌরবের কাছ থেকেও রিয়া নিষিদ্ধ মাদক আমদানি করতেন বলে প্রকাশ পায় তাঁদের কথপোকথন। এমন অভিযোগও ওঠে। যা নিয়ে শুরু হয়ে যায় জোর শোরগোল। এমনকী,সুশান্ত গাঁজা ছাড়তে চাওয়ার পর, রিয়া লুকিয়ে তাঁকে মাদকের অভ্যেস করান বলেও অভিযোগ ওঠে। যা ইতিমধ্যেই নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো এবং সিবিআই খতিয়ে দেখছে বলে খবর।