২০১৪য় সুশান্তের অনিদ্রার সমস্যা হয়েছিল, গুরুতর কিছুই নয়, স্পষ্ট করলেন মনোবিদ
সুশান্তকে পরীক্ষা করে দেখি, তবে গুরুতর কোনও সমস্যাই আমি দেখতে পাই নি। জানালেন মনোবিদ হরিশ শেঠি।
নিজস্ব প্রতিবেদন : সুশান্ত তাঁর কাছে ২০১৪ সালে গিয়েছিলেন, একথা স্বীকার করে নিলেন মনোবিদ হরিশ শেঠি। যদিও সেটা নেহাতই অনিদ্রার সমস্যার কারণে বলে জানালেন হরিশ শেঠি।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রিয়া চক্রবর্তী দাবি করেছিলেন, সুশান্তের মানসিক অবসাদের সমস্যা অনেক আগে থেকেই ছিল। যেকারণে সুশান্ত ২০১৩ সালে মনোবিদের পরামর্শও নিয়েছিলেন। আর তখন তিনি সুশান্তের জীবনে ছিলেনও না। রিয়ার কথা প্রসঙ্গে সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে মনোবিদ হরিশ শেঠি জানিয়েছেন, ''২০১৪ সালে সুশান্ত আমার আন্ধেরির ক্লিনিকে এসেছিলেন। তবে কোনও অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছিল না। সুশান্ত আমাকে বলেছিলেন, তিনি অনিদ্রায় ভুগছেন। এরপর আমি সুশান্তকে পরীক্ষা করে দেখি, তবে গুরুতর কোনও সমস্যাই আমি দেখতে পাই নি। ইনসোমনিয়া অর্থাৎ অনিদ্রার জন্যই আমি কিছু ওষুধ দিয়েছিলাম। তারপর উনি আর আসেননি।''
আরও পড়ুন-বাবার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ঠিক কেমন ছিল? নিজেই বলেছিলেন সুশান্ত, দেখুন ভিডিয়ো
প্রসঙ্গত মনোবিদ হরিশ শেঠির কথা মতো সুশান্তের কোনও গুরুতর সমস্যা ছিল না। বুধবার সুশান্তের পরিবারের আইনজীবীও একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সেখানে বিকাশ সিং বলেন, ২০১৩ সালে সুশান্তের উদ্বেগজনিত কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছিল, তবে তা গুরুতর নয়। সময়ের সঙ্গে সেটা ঠিকও হয়ে যায়। আর এটাকে মানসিক রোগ বা অবসাদ হিসাবে চিহ্নিত করা যায় না।
আরও পড়ুন-মারাঠিতে লেখা বিবৃতি সুশান্তের পরিবারকে দিয়ে সই করিয়েছিল মুম্বই পুলিস : আইনজীবী