Tollywood on Two Finger Test: 'কেউ যদি সেক্সুয়ালি অ্যাক্টিভ থাকে তাহলে কি ধর্ষিত হতে পারে না?'

Tollywood on Two Finger Test: ধর্ষণের প্রমাণ পেতে টু ফিঙ্গার টেস্ট(ভার্জিনিটি টেস্ট) করা যাবে না। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে কী প্রতিক্রিয়া টলিউডের তারকাদের? জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালকে তাঁদের মন্তব্য জানালেন সন্দীপ্তা সেন, তনুশ্রী চক্রবর্তী, ইমন চক্রবর্তী ও ঊষসী চক্রবর্তী।

সৌমিতা মুখোপাধ্যায়: সুপ্রিম কোর্টের গুরুত্বপূর্ণ রায়। সোমবার সর্বোচ্চ আদালত রায় দান করেছে, ধর্ষণের প্রমাণ পেতে টু ফিঙ্গার টেস্ট (ভার্জিনিটি টেস্ট) করা যাবে না। যদি কেউ এই টেস্ট করে তাহলে তা অসদাচরণ বলে গণ্য করা হবে। কেন্দ্র ও রাজ্যকে এই টেস্ট বন্ধ করতে হবে। এই নিয়ে বিতর্ক হয়েছে আগেও। যুক্তি ছিল ধর্ষণের প্রমাণ পেতে এই টেস্ট করার অর্থ ধর্ষণের পর ফের এক ধরনের ধর্ষণ। বেঞ্চের তরফে এদিন মন্তব্য করা হয়, আজও এই টেস্ট করা হচ্ছে। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এটার মানে এই নয় যে, যৌন জীবনে সক্রিয় কোনও মহিলাকে ধর্ষণ করা যায় না। ওই মন্তব্যই শুধু নয়, প্রতিটি রাজ্যের ডিজিপিকে নির্দেশ দেওয়া হয়, ধর্ষণের প্রমাণ পেতে কারও যেন টু ফিঙ্গার টেস্ট করা না হয়। প্রতিটি রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজের পাঠ্যসূচি থেকে ওই টু ফিঙ্গার টেস্ট সরিয়ে ফেলতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে স্বাগত জানান টলিউডের তারকারা।

‘সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই। এটা একটা আশোর আলো। খুবই পজিটিভ অ্যাপ্রোচ’, বলেন অভিনেত্রী তনুশ্রী চক্রবর্তী। অভিনেত্রী সন্দীপ্তা সেনের মতে, ‘এটা তো ভার্জিনিটি টেস্ট। একটা মেয়ে যদি তাঁর যৌনজীবনে অ্যাক্টিভ থাকে তাহলে কী সে ধর্ষিত হতে পারে না?  এরকম তো নয়। তাহলে একজন রেপ হলে এই টেস্টের কী মানে? অন্য কোনো ভাবেও টেস্ট করা যেতে পারে। অনেক সিদ্ধান্তই অনেক আগে নেওয়া উচিত ছিল কিন্তু আমাদের বুঝতে, সিদ্ধান্ত নিতে সময় লাগে। এরকম অনেক সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রইলাম। আশা করি সেগুলোও আসবে।’

সঙ্গীতশিল্পী ইমন চক্রবর্তী জানান, ‘সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তকে কুর্নিশ জানাই। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য মহামান্য আদালতকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। সুপ্রিম কোর্ট যদি এবার একটু ধর্ষকদের নিয়ে রায় দেন যে, ধর্ষকদের শাস্তি শুধু মৃত্যুদন্ড তাহলে একটু বেশি খুশি হতাম।‘ অভিনেত্রী ঊষসী চক্রবর্তীর মতে, ‘এই শতকে দাঁড়িয়ে ভার্জিনিটি শুধু একটা মিথ, খুবই পুরুষতান্ত্রিক নির্মাণ। কারণ এই ভার্জিনিটি মেয়েদের উপর চাপ তৈরি করে। পুরুষদের তো আর ভার্জিনিটির দায় নিতে হয় না। এই সময় দাঁড়িয়ে এটা খুবই বোকা বোকা ব্যাপার। যাঁর একটা অ্যাক্টিভ সেক্সুয়াল লাইফ আছে তাহলে তাঁকে কী ধর্ষণ করা যায়! ব্যাপারটা কী এরকম? রেপের একমাত্র ফ্যাক্টর তো কনসেন্ট। তার জন্য অন্য মেডিক্যাল টেস্ট করা উচিত, ভার্জিনিটি টেস্ট নয়। তাই আমার কাছে এটা খুবই ভালো রায়।’