Tv Actress Suicide: প্রেমিকের চাপেই আত্মহত্যা করেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী প্রত্যুষা, ৭ বছর পর রায় আদালতের...
Pratyusha Banerjee Suicide Case: বালিকা বধূ ধারাবাহিকের হাত ধরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছেছিলেন বাঙালি অভিনেত্রী প্রত্যুষা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সেই জনপ্রিয়তার রেশ থাকতে থাকতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন অভিনেত্রী। ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল মুম্বইয়ের গোরেগাঁওয়ে নিজের ফ্ল্যাট থেকেই উদ্ধার হয় ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী প্রত্যুষার দেহ। অভিযোগের আঙুল ওঠে প্রেমিক রাহুল সিংয়ের বিরুদ্ধে। এবার সেই মামলায় রায় আদালতের।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দীর্ঘ ৭ বছর পর আদালতে ন্যায় পেলেন বাঙালি অভিনেত্রী প্রত্যুষা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Pratyusha Banerjee) পরিবার। ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল মুম্বইয়ের গোরেগাঁওয়ে নিজের ফ্ল্যাট থেকেই উদ্ধার হয় ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী প্রত্যুষার দেহ। এরপর প্রত্যুষার পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয় প্রেমিক রাহুল সিংয়ের (Rahul Raj Singh) বিরুদ্ধে। ‘বালিকা বধূ’(Balika Badhu) ধারাবাহিকে আনন্দীর চরিত্রের ভারতের ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছিলেন বাঙালি অভিনেত্রী। তাঁর এই আকস্মিক আত্মহত্যার খবরে স্তম্ভিত ছিল গোটা টেলি জগত। সেই মামলায় এবার রায় দিল মুম্বইয়ের আদালত।
আরও পড়ুন- Jawan Trailer: ‘...বাপের সঙ্গে কথা বল’ আরিয়ান গ্রেফতারির পাল্টা বার্তা ‘জওয়ান’ শাহরুখের?
প্রত্যুষার পরিবারের অভিযোগই সত্যি প্রমাণিত হল আদালতে। প্রেমিক রাহুলের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলা করে অভিনেত্রীর পরিবার। সূত্রের খবর, আদালত তার রায়ে জানিয়েছে হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন অভিনেত্রী প্রত্যুষা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই হেনস্থা থেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন প্রত্যুষা। এইদিন প্রত্যুষার মৃত্যু মামলায় অভিযুক্ত প্রেমিক রাহুলের মুক্তির আবেদন খারিজ করে এই রায় দিয়েছে আদালত।গত বুধবারই মুম্বইয়ের দিন্দোশি আদালতের অতিরিক্ত দায়রা জজ সমীর আনসারি রায়ে বলেন, প্রেমিক রাহুল সিং প্রত্যুষাকে শারীরিক, মানসিকভাবে হেনস্থা করতেন এবং রাহুলের জন্যই আর্থিক হয়রানিরও শিকার হতে হয়েছিল প্রত্যুষাকে। আর এইসব ঘটনার কারণেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন প্রত্যুষা।
মুম্বইয়ের দিন্দোশি আদালতের বিচারক সমীর আনসারি গত ১৪ অগস্ট রাহুল সিং-র মুক্তির আবেদন খারিজ করেছিলেন। এরপর বুধবারেই তার কারণ তুলে ধরে আদালত। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রত্যুষার মৃত্যুর পরেই রাহুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন প্রত্যুষার মা ও অভিনেত্রীর বন্ধপ কামিয়া পাঞ্জাবি। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতেই আইপিসি ধারা ৩০৬ (আত্মহত্যায় প্ররোচনা), ৩২৩ (স্বেচ্ছায় আঘাত করা) ৫০৪ (ইচ্ছাকৃত অপমান), ৫০৬ (অপরাধমূলক ভয় দেখানো) সহ একাধিক ধারায় মামলা হয়। কামিয়া ছাড়াও এই মামলায় প্রত্যুষার মায়ের পাশে দাঁড়ান বিকাশ গুপ্তা। সেই মমলার তদন্তে নেমেই পুলিস জানতে পারে যে মৃত্যুর আগে রাহুলকে শেষবারের জন্য ফোন করেছিলেন প্রত্যুষা। দীর্ঘ ৭ বছর পর মেয়ের মৃত্যুর বিচার পেলেন প্রত্যুষার মা।
(আত্মহত্যা শুধু আপনাকেই নয়, আপনার কাছের মানুষদেরও শেষ করে দেয়। আপনি কোনও ভাবে বিষণ্ণ বা অবসাদগ্রস্ত হলে কল করুন ৯১৫২৯-৮৭৮২১ নম্বরে। সোম থেকে শনি সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ফোন করার সময়।)