মন্ত্রীদের উস্কানিমূলক মন্তব্য বন্ধ করতে কড়া দাওয়াই কমিশনের
ভোটমঞ্চে নেতা,মন্ত্রীদের একের পর এক উস্কানিমূলক মন্তব্য বন্ধ করতে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে কমিশন। বক্তার কোনও মন্তব্য নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করলে সেবিষয়ে সংশ্লিষ্ট জেলাশাসক ও পুলিস সুপারকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতেও স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করতে পারে কমিশন। গতকালই এনিয়েবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কমিশন।
ভোটমঞ্চে নেতা,মন্ত্রীদের একের পর এক উস্কানিমূলক মন্তব্য বন্ধ করতে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে কমিশন। বক্তার কোনও মন্তব্য নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করলে সেবিষয়ে সংশ্লিষ্ট জেলাশাসক ও পুলিস সুপারকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতেও স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করতে পারে কমিশন। গতকালই এনিয়েবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কমিশন।
প্রচার সভায় রাজনৈতিক নেতাদের উস্কানিমূলক মন্তব্যে উদ্বিগ্ন নির্বাচন কমিশন। এনিয়ে শুক্রবারই বৈঠকে বসেন কমিশনের আধিকারিকেরা। । কমিশন মনে করছে , রাজনৈতিক নেতাদের প্ররোচনামূলক মন্তব্য সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে । বেশকিছু ক্ষেত্রে নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করেই বক্তব্য রেখেছেন রাজনৈতিক নেতারা। কিছু ক্ষেত্রে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ায় গাফিলতি লক্ষ্য করা গেছে । প্রচারসভায় প্ররোচনামূলক মন্তব্য বন্ধ করতে বেশকিছু কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এবিষয়ে ইতিমধ্যেই বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে।
কমিশনের নেওয়া সিদ্ধান্তগুলি হল...
১# সভা-সমাবেশে বক্তব্যের ভিডিও রেকর্ডিংয়ের ওপর জোর দিতে হবে। প্রশাসনের সঙ্গে সংযোগ রেখেই ভিডিও রেকর্ডিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে পর্যবেক্ষকদের ।
২# কোনও মন্তব্য নির্বাচনী বিধিভঙ্গ মনে হল সংশ্লিষ্ট জেলা শাসক ও পুলিস সুপার দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন
৩# পুরো বিষয় খতিয়ে দেখার পর পুলিস সুপার ও জেলাশাসক আইনি সহায়তা নেবেন ও দেরি না করে দ্রুত এফআইআর করবেন।
৪# এফআইআরের ভিত্তিতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তার ওপর কড়া নজরদারি রাখতে হবে। পুরো বিষয়টি মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক ও সংবাদমাধ্যমের সাহায্যে সাধারণ মানুষকে জানাতে হবে।
৫# যিনি সভার অনুমতি নেবেন, তাঁকে সভা শেষের ছঘন্টার মধ্যে বক্তাদের বক্তব্যের অসম্পাদিত সিডি দুকপি করে জমা দিতে হবে। যদি কমিশন মনে করে বক্তব্যে নির্বাচনী বিধিভঙ্গ হয়েছে , সেক্ষেত্রে কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত মামলাও দায়ের করতেও পারে। এতেই শেষ নয়। সংবাদ মাধ্যমের খবরের ভিত্তিতেও নির্বাচনী বিধিভঙ্গ হয়েছে মনে করলে সেক্ষেত্রেও কমিশনকে ব্যবস্থা নিতে হবে।
৬# প্রত্যেক জেলায় জেলা শাসক ও পুলিস সুপারকে রাজনৈতিক দলের সভা ও প্রচার কর্মসূচির প্রতিদিনের রিপোর্ট পাঠাতে হবে। উস্কানিমূলক বন্ধ করতে নির্বাচন কমিশন যে আগামিদিনে আরও কঠোর হতে চলেছে নির্বাচন কমিশনের নেওয়া সিদ্ধান্তেই তা স্পষ্ট।