বিজেপির উত্থান আর রাজ্যের মন্ত্রীরা
বিজেপির উত্থান আর রাজ্যের মন্ত্রীরা
মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্রে পিছিয়ে গেল তৃণমূল। পিছিয়ে গেল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্রেও। লোকসভা ভোটের ফলে দেখা যাচ্ছে, রাজ্যের ছয় মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র, কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী, মণীশ গুপ্ত, মলয় ঘটক, আবদুল করিম চৌধুরী, নূরে আলম চৌধুরীর বিধানসভা কেন্দ্রেও পিছিয়ে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
গত বিধানসভা ভোটে যাদবপুরে তত্কালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে হারানো মণীষ গুপ্ত এখন রাজ্যের মন্ত্রী। কিন্তু এবার সেই কেন্দ্রেই পিছিয়ে পড়ল তৃণমূল। তৃণমূল প্রার্থী সুগত বসুর চেয়ে ৩০৮ ভোট বেশি পেয়েছেন সিপিআইএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী।
মন্ত্রী নূরে আলম চৌধুরীর মুরারই কেন্দ্রেও বামেরা হাজার তিনেক ভেটে তৃণমূলকে পিছনে ফেলে দিয়েছে।
মালদার দুই মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্রর মানিকচক আর কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর ইংরেজবাজার কেন্দ্রেও পিছিয়ে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মানিকচকে একে কংগ্রেস, দুয়ে তৃণমূল। কিন্তু কৃষ্ণেন্দুর ইংরেজবাজারে তৃণমূল তিনে। একে বিজেপি, দুয়ে কংগ্রেস। কৃষ্ণেন্দু আবার ইংরেজবাজারের পুরপ্রধানও। সেখানে পঁচিশটি ওয়ার্ডের মধ্যে বিজেপি তেইশটি আর কংগ্রেস ও বামেরা একটি করে ওয়ার্ডে বেশি ভোট পেয়েছে।
সাবিত্রীর দায়িত্বে থাকা দক্ষিণ মালদা লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল শেষ করেছে চার নম্বরে। কৃষ্ণেন্দুর দায়িত্বে থাকা উত্তর মালদায় তিনে। এর ধাক্কায় সাবিত্রী-কৃষ্ণেন্দু এখন কাজিয়ায় মেতেছেন।
উত্তরবঙ্গের আরেক মন্ত্রী আবদুল করিম চৌধুরীর ইসলামপুর কেন্দ্রেও তৃণমূলকে পিছনে ফেলে দিয়েছে বিজেপি।
কৃষিমন্ত্রী মলয় ঘটকের আসানসোল উত্তর কেন্দ্রে প্রায় ২৫ হাজার ভোটে তৃণমূলকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়। আসানসোলের পুরপ্রধান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক। সেখানেও কুড়ি হাজারেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে তৃণমূলকে পিছনে ফেলে দিয়েছে বিজেপি। হারের ধাক্কায় মন্ত্রী মলয় ঘটক আর পুরপ্রধান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়কে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
তৃণমূল অবশ্য পিছিয়ে পড়েছে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুরেও। সেখানে বিজেপি প্রার্থী তথাগত রায় ১৮৫ ভোটে পিছনে ফেলে দিয়েছেন তৃণমূলের সুব্রত বক্সিকে।
পিছিয়ে না পড়লেও গত বিধানসভা ভোটের চেয়ে তৃণমূলের ফল খারাপ হয়েছে মন্ত্রী গৌতম দেব, অরূপ বিশ্বাস, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, জাভেদ খান, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মদন মিত্র, পূর্ণেন্দু বসু, ব্রাত্য বসু, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, অরূপ রায়, সাধন পাণ্ডে, শঙ্কর চক্রবর্তী, কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূলের মুখ্যসচেতক শোভদেব চট্টোপাধ্যায়দের বিধানসভা কেন্দ্রেও। সৌজন্যে মোদী সুনামি।