স্বাধীনতাত্তোর ভারতের প্রথম ভোটদাতা বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের নির্বাচনে এবারও অংশ নিলেন
শ্যামশরণ নেগি। বয়স সাতানব্বই । হিমাচলের মান্ডি লোকসভা কেন্দ্রের কল্পা বুথের ভোটদাতা। স্বাধীন ভারতের প্রথম ভোটার নেগি। তখন বয়স ছিল বত্রিশ। ছিল ব্যলট পেপার। আজ দুহাজার চোদ্দর সাতই মে। এবারও ভোট দিলেন নেগি। সাতসকালে কল্পা বুথের লাইনে দাঁড়িয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করলেন ইভিএমে। বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের অন্যতম প্রতীক তিনি। দেশের প্রথম ভোটার হিসেবে তাঁকে সম্মানিত করেছে কমিশন।
শ্যামশরণ নেগি। বয়স সাতানব্বই । হিমাচলের মান্ডি লোকসভা কেন্দ্রের কল্পা বুথের ভোটদাতা। স্বাধীন ভারতের প্রথম ভোটার নেগি। তখন বয়স ছিল বত্রিশ। ছিল ব্যলট পেপার। আজ দুহাজার চোদ্দর সাতই মে। এবারও ভোট দিলেন নেগি। সাতসকালে কল্পা বুথের লাইনে দাঁড়িয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করলেন ইভিএমে। বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের অন্যতম প্রতীক তিনি। দেশের প্রথম ভোটার হিসেবে তাঁকে সম্মানিত করেছে কমিশন।
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত হয়েছে ভারত। এরপর উনিশশো বাহন্নর ফেব্রুয়ারিতে দেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচন। প্রবল ঠাণ্ডার কারণে সেবার হিমাচলের কিন্নর জেলায় ভোট নেওয়া হয় চার মাসে আগে , উনিশশো একান্নর,পঁচিশে অক্টোবর। দেশের প্রথম ভোটকেন্দ্র হয়েছিল কিন্নরের কল্পায়। সেই বুথে পোলিং অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন শ্যামশরণ নেগি।পোলিং অফিসার হিসাবে দায়িত্ব পালনের আগে ওই কেন্দ্রে প্রথম ভোট দিয়েছিলেন নেগি। সেই হিসাবে স্বাধীন ভারতের সর্বপ্রথম ভোটদাতা কল্পার শ্যামশরণ নেগি। সেই শুরু। এরপর উনিশশো একান্ন থেকে শুরু করে একটিবারও ভোট দিতে ভুল করেননি হিমাচলপ্রদেশের এই বাসিন্দা। গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগে কখনও বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি বয়স। দুহাজার চোদ্দর সাতই মে দেখা গেল সেই একই ছবি। স্ত্রী হীরা মণির সঙ্গে সকাল সকাল ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে শ্যামশরণ নেগি। এদিনও কল্পার বুথে তিনিই ছিলেন প্রথম ভোটার। ভোট দিয়ে বেরিয়ে নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের ভোট দেওয়ার জন্য উত্সাহ দিয়েছেন তিনি।
মান্ডি লোকসভা কেন্দ্রের ভোটার শ্যামশরণ নেগিকে তাদের অ্যাম্বাসাডর করেছে নির্বাচন কমিশন। বুধবার তাকে বিশেষ সম্মানও জানিয়েছে কমিশন। নেগির কাছে নিঃসন্দেহে তা বাড়তি পাওনা। নতুন প্রজন্মকে ভোটমুখী করাই তার একমাত্র উদ্দেশ্য। এদিনও একমনে সেকাজটাই করে গেছেন হিমাচল প্রদেশের বাসিন্দা শ্যামশরণ নেগি।