ভারতের ১৮ শতাংশ মহিলা পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোমে ভোগেন
পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম। বর্তমান প্রজন্মের অন্যতম বড় সমস্যা। সমীক্ষা জানাচ্ছে ভারতের ১৮ শতাংশ মহিলা পলিসিস্টিক সিনড্রোমে ভোগেন। বিশেষ করে পূর্ব ভারতের মহিলারা বেশি এই সমস্যায় ভোগেন।
ওযেব ডেস্ক: পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম। বর্তমান প্রজন্মের অন্যতম বড় সমস্যা। সমীক্ষা জানাচ্ছে ভারতের ১৮ শতাংশ মহিলা পলিসিস্টিক সিনড্রোমে ভোগেন। বিশেষ করে পূর্ব ভারতের মহিলারা বেশি এই সমস্যায় ভোগেন।
বহুজাতিক প্যাথলজি ল্যাবরেটরিজ মেট্রোপলিজ হেলথকেয়ার জানাচ্ছে, "সাধারণত অল্পবয়সী মহিলাদের মধ্যে এই সমস্যা দেখা যায়। চিকিত্সকরা জানাচ্ছেন, বর্তমান সময়ে বন্ধ্যাত্বের প্রধান কারণ পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম।" টানা ১৮ মাস ধরে ২৭,৪১১ জনের টেস্টোটেরনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তার মধ্যে ৪৮২৪(১৭.০৬%) জন মহিলার পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম সহ হরমোনাল সমস্যায় ভোগেন। মূলত ১৫ থেকে ৩০ বছর বয়সী মহিলাদের মধ্যে দেখা যায় এই সমস্যা।
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে পূর্ব ভারতের ২৫.৮৮% মহিলা পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোমে ভোগেন, উত্তর ভারতের ১৮.৬২% মহিলার মধ্যে এই সমস্যা দেখা যায়। মেট্রোপলিস হেলথকেয়ারের মেডিকো মার্কেটিং জেনারেল ম্যানেজার ডা. সোনালি কোলটে জানান, "প্রথম অবস্থায় ধরা পড়লে অনেক সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। এখন মহিলাদের মধ্যে এই সমস্যার ব্যাপারে সচেতনতা দেখা দিয়েছে। যার ফলে অনেকেই চিকিত্সার জন্য আসছেন।" সাধারণত কসমেটিক, গায়নকোলজিক্যাল ও মেটাবলিক লক্ষণ থেকে এই সমস্যা বোঝা যায়।
সোনালি জানান, "মুখে লোমের আধিক্য, মাথার চামড়া পাতলা হয়ে যাওয়া ও অ্যাকনে পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোমের লক্ষণ হতে পারে। অনিয়মিত ঋতুস্রাবও পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোমের লক্ষণ।" অল্পবয়সে এই সমস্যা যেমন বন্ধ্যাত্ব, গর্ভপাতের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। বেশি বয়সে পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোমের ফলে জয়ায়ুর ক্যানসার, হার্টের সমস্যা বা টাইপ টু ডায়বেটিসের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
টেস্টোটেরন, ব্লাড সুগার, ইনসুলিন, এফএসএইচ, এলএইচ, ১৭ওএইচপি ও ডিএইচইএএস পরীক্ষার মাধ্যমে পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম সম্পর্কে নিশ্চিত হন চিকিত্সকরা।