ফের বিসি রায় হাসপাতালে শিশু মৃ্ত্যু,জ্বর ও ফুসফুসের সংক্রমণ ছিল ১০ মাসের শিশুকন্যার
রাজ্যের একের পর এক শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তার মধ্যে একদিকে যেমন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু রয়েছে। অপরদিকে অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েও শিশুমৃত্যু ঘটেছে। অ্যাডিনোভাইরাস মোকাবিলায় আরও তৎপর রাজ্য সরকার।
মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: ফের বিসি রায় হাসপাতালে শিশু মৃত্যু। শুক্রবার সকাল আটটা নাগাদ বারাসাতের বাসিন্দা ১০ মাসের শিশুর কন্যার মৃত্যু হয়। পরিবারের দাবি দু'সপ্তাহ আগে জ্বর নিয়ে এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল ওই শিশুকে। ফুসফুসের সংক্রমণ ছিল।পরিবারের দাবি চিকিৎসকেরা জানায়, অ্য়াডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত ছিল শিশুটি। যদিও হাসপাতাল এ নিয়ে কোনও বক্তব্য প্রকাশ করেনি।
আরও পড়ুন, Adeno Virus: অ্যাডিনোর দাপট বাড়ছে, ভাইরাস হানায় আরও ২ শিশুর মৃত্যু
বৃহস্পতিবার রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে বিসি রায় শিশু হাসপাতালে। দু'জনেই অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত ছিল বলে জানা গিয়েছে। উত্তর ২৪ পরগণার বাগবেরিয়া গ্রামের ১১ মাসের শিশুকন্যাকে জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ভর্তি করা হয় বিসি রায় শিশু হাসপাতালে। পরিবার সূত্রে খবর, শিশুর শারীরিক অবস্থার ক্রমেই অবনতি হতে থাকে।
বৃহস্পতিবার রাত পৌনে একটা নাগাদ তার মৃত্যু হয়। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, শিশুটি অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত ছিল। অন্যদিকে, সকাল আটটা নাগাদ বারাসাতের বাসিন্দা ১০ মাসের শিশুর কন্যার মৃত্যু হয়। পরিবারের দাবি দু সপ্তাহ আগে জ্বর নিয়ে এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল ওই শিশুকে। ফুসফুসের সংক্রমণ ছিল। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে এই শিশুটিও অ্য়াডিনো ভাইরাস আক্রান্ত ছিল।
রাজ্যের একের পর এক শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তার মধ্যে একদিকে যেমন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু রয়েছে। অপরদিকে অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েও শিশুমৃত্যু ঘটেছে। অ্যাডিনোভাইরাস মোকাবিলায় আরও তৎপর রাজ্য সরকার। চালু করা হল সর্বক্ষণ খোলা রাখা কন্ট্রোল রুম। একটি ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা হেল্পলাইন নম্বরও চালু করা হয়েছে। টোল ফ্রি নম্বরটি হল ১৮০০-৩১৩-৪৪৪-২২২।
আরও পড়ুন, Child Death: অ্যাডিনোভাইরাস ও নিউমোনিয়ায় কলকাতার ২ হাসপাতালে একদিনে মৃত্যু ৫ শিশুর