শিশুর স্বাস্থ্য, বুদ্ধির বিকাশ মায়ের কোলেই

মস্ত কেরিয়ার, ব্যস্ত জীবন। অন্যের কোলেই বাড়ছে আপনার সন্তান। আপনিই কিন্তু বিপদ ডেকে আনছেন। বুকে আগলে রাখুন নিজের সন্তানকে। ঠিক ক্যাঙারুর মতো। শিশুর স্বাস্থ্য, বুদ্ধির বিকাশ মায়ের কোলেই।

Updated By: Dec 19, 2016, 08:17 PM IST
শিশুর স্বাস্থ্য, বুদ্ধির বিকাশ মায়ের কোলেই

ওয়েব ডেস্ক: মস্ত কেরিয়ার, ব্যস্ত জীবন। অন্যের কোলেই বাড়ছে আপনার সন্তান। আপনিই কিন্তু বিপদ ডেকে আনছেন। বুকে আগলে রাখুন নিজের সন্তানকে। ঠিক ক্যাঙারুর মতো। শিশুর স্বাস্থ্য, বুদ্ধির বিকাশ মায়ের কোলেই।

আধুনিক জীবন। মস্ত কেরিয়ার। ব্যস্ত জীবন। ছুট, ছুট এবং ছুট। ছোট থেকেই অন্যের কোলে বাড়ছে সন্তান। সকালে একবার আর রাতে একবার। দিনে দুবার মায়ের দেখা, মায়ের স্পর্শ, মায়ের আদর। শৈশব থেকে কৈশোর, কৈশোর থেকে তারুণ্য, তারুণ্য থেকে যৌবন। এভাবেই বেড়ে ওঠা। কিন্তু না, সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, বদলাতেই হবে শিশুর লালন-পালনের এই রীতি।

ঠিক এভাবেই। যেমনটি ক্যাঙারুর বাচ্চাটি লেগে থাকে মায়ের শরীরের সঙ্গে। সবসময়। ঠিক তেমনটি।

গবেষকরা বলছেন, সারাক্ষণ মায়ের বুকে-পেটে লেপ্টে থাকা সদ্যোজাত আরও সুস্থ ও নীরোগ শরীরে বেড়ে উঠবে। আরও স্বাভাবিক হবে বুদ্ধির বিকাশ। এই সব শিশুর IQ অন্য শিশুর তুলনায় প্রায় সাড়ে ৩ শতাংশ বেশি। এই শিশু হবে অনেক বেশি ভদ্র, নম্র। সময়ের আগে জন্ম নেওয়া শিশুর ক্ষেত্রে এই ক্যাঙারু-মাতৃত্ব অনেক বেশি প্রয়োজন বলে দাবি গবেষকদের। শিশুমৃত্যুর হারও অনেক কমে যাবে বলে মত তাঁদের। যেখানে সাধারণ শিশুর ক্ষেত্রে মৃত্যুর হার ৭.৭ শতাংশ, সেখানে ক্যাঙারু-মাতৃত্বে শিশুমৃত্যুর হার কমে যায় প্রায় ৩ শতাংশে।

ঠিক কেমন হবে শিশুর যত্ন? বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, সদ্যোজাতকে কোলে তুলে এইভাবে দোলাতে হবে। যেমন খুশি কোলে তোলা, দোলানো, বুকে চেপে রাখা বা শোয়ানো যাবে না। প্রাথমিকভাবে সাবান দিয়ে ভাল করে হাত ধুয়ে নিতে হবে। কারণ, সদ্যোজাতর তখন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালভাবে গড়ে ওঠেনি। এইসময় সংক্রমণের ভয় থাকে। প্রত্যেক ২-৩ ঘণ্টা অন্তর বুকের দুধ দিতে হবে। এতেই শিশু সুস্থভাবে বেড়ে উঠবে। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠবে।

একটা বুকের দুধ ১০ মিনিটের বেশি নয়। বুকের দুধ ছাড়া বোতলের দুধ দিলে প্রতিবার ৬০-৯০ গ্রাম দুধ দিতে হবে। প্রথম কয়েক সপ্তাহ শুধু স্পঞ্জ বাথ দিতে হবে যতক্ষণ না নাভিরজ্জু পড়ে যাচ্ছে, যতক্ষণ না নাভি পুরোপুরি শুকিয়ে যাচ্ছে। তারপর থেকে প্রতি সপ্তাহে ২-৩বার স্নান। শিশুর প্রথম বছর পর্যন্ত এভাবেই চলবে।

শরীরে র‍্যাশ বেরোলে উপায়?

ভিজে ডায়াপার এই র‍্যাশের কারণ। প্রস্রাব-পায়খানা করলে সঙ্গে সঙ্গেই ডায়াপার বদল। ভিজে কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করে জায়গাটা শুকনো করে দিতে হবে। তারপর ওই জায়গায় কোনও বেবি পাউডার দেওয়া যাতে ওইখানে ঘাম না জমে। দিনের বেশ কিছু সময় ডায়াপার ছাড়াই রাখতে হবে সদ্যোজাতকে। তাই ইনকিউবেটর ছাড়ুন, কোলেপিঠে করে মানুষ করুন আপনার সন্তানকে।

.