মারণ রোগ হেপাটাইটিস বি!

হেপাটাইটিস বি ভাইরাস। এককথায় লিভারের দফারফা। প্রতি মুহূর্তে  ছড়াচ্ছে মারণ রোগ। টাওয়েল, টুথব্রাশ, রুমাল, রেজার থেকেও সংক্রমণের আশঙ্কা তীব্র। এমনই বিপদঘণ্টি বাজিয়েছে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স।

Updated By: Jul 26, 2016, 03:38 PM IST
মারণ রোগ হেপাটাইটিস বি!

ওয়েব ডেস্ক: হেপাটাইটিস বি ভাইরাস। এককথায় লিভারের দফারফা। প্রতি মুহূর্তে  ছড়াচ্ছে মারণ রোগ। টাওয়েল, টুথব্রাশ, রুমাল, রেজার থেকেও সংক্রমণের আশঙ্কা তীব্র। এমনই বিপদঘণ্টি বাজিয়েছে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স।

সব বাড়িতে আলাদা তোয়ালে ব্যবহারের রেওয়াজ কোথায়? একই তোয়ালেতে কাজ চালান পরিবারের সবাই। রুমালের ক্ষেত্রে হয়ত বিষয়টা কিছুটা ব্যতিক্রম। কিন্তু ছেলেমেয়ে বা ভাইবোনকে প্রয়োজনে রুমাল এগিয়ে দিয়েই থাকি আমরা। নাক নাই বা মুছল, হাত বা মুখ মোছার ক্ষেত্রে সেই রুমাল ব্যবহার হয়েই থাকে। শুধু তাই নয়, অনেক সময় একই রেজার ব্যবহার করেন বাবা-ছেলে, এমনকী দুই ভাইও। সেলুন তো আরও মারাত্মক। একই তোয়ালে গায়ে জড়ানো তো হয়ই, অনেকসময় একই ব্লেডে মাথা ন্যাড়া বা দাড়ি কাটাও দিব্যি চালিয়ে দেন নাপিত।

কিন্তু জানেন কি, কী ভয়ঙ্কর বিপদ ডেকে আনছেন? অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সের সাম্প্রতিক রিপোর্টে চোখ রাখলে চমকে উঠবেন।

একজনের ব্যবহার করা তোয়ালে, রুমাল, রেজর বা টুথব্রাশ ব্যবহার করলেই বিপদ। শুধু তাই নয়, জামাকাপড়, চিরুনি, বিছানার চাদর থেকেও ছড়ায় মারাত্মক হেপাটাইটিস বি ভাইরাস। একজনের শরীরের সংস্পর্শে আসার পর ব্যবহার্য এই জিনিসগুলোই যদি অন্য কেউ ব্যবহার করেন, তাহলেই সর্বনাশ। ব্যবহার্য এই জিনিসগুলিতে একজনের শরীরের ফ্লুইড লেগে থাকে। সেই জিনিসগুলিই যদি অন্য কেউ ব্যবহার করে, তার শরীরে খুব ছোট্ট ক্ষত বা কালশিটে থেকে হেপাটাইটিস বি ভাইরাস তার শরীরে প্রবেশ করে।

আরও পড়ুন স্লিপ অ্যাপনিয়া থেকে ঘুমের মধ্যেই ঘটতে পারে হার্ট অ্যাটাক!

মেডিক্যাল তথ্য বলছে, রাজ্যের প্রায় ৩ শতাংশ মানুষ হেপাটাইটিস বি জীবাণু বহনকারী। তার ৫ ভাগের এক ভাগ মানুষ হেপাটাইটিস বি পজিটিভ। বাকি ৪ ভাগ মানুষের থেকে এই ভাইরাস সংক্রমণ হতে পারে। আর হেপাটাইটিস বি জীবাণু যদি আপনার শরীরে প্রবেশ করে তাহলে যে আপনার শেষের শুরু হয়ে গেল, তা বলছেন অনেক চিকিত্সক। হেপাটাইটিস বলতে সোজাভাবে বোঝায় লিভারে ক্ষত। ক্রনিক হেপাটাইটিসের অন্যতম কারণ হল ভাইরাস সংক্রমণ। এটি একটি নীরব ভাইরাস। তেমন কোনও উপসর্গই থাকে না অনেকের। কোনও জানান না দিয়ে এই ভাইরাস শরীরে থেকে যায় দীর্ঘদিন।

আর এর পরিণাম?

অনেকসময় যেহেতু উপসর্গই চিহ্নিত করা যায় না, ফলে চিকিত্সা করারও প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন না অনেকে। এর ফলে ঘটতে পারে লিভার সিরোসিসের মতো মারাত্মক অসুখ। হতে পারে মৃত্যুও। তাই সাবধান। কারও ব্যবহার করা তোয়ালে, রুমাল, টুথব্রাশ, রেজার, চিরুনি বা জামাকাপড় ব্যবহার করার আগে বহুবার ভাবুন।

.