Omicron in Kids: ছোটদের মধ্য়ে ওমিক্রণ, জেনে নিন ৫ লক্ষণ
কীভাবে শিশুদের নিরাপদ রাখা যাবে? বড়দের মতোই তাদের মাস্ক
নিজস্ব প্রতিবেদন: গোটা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ৫৮ হাজার ৯৭ জন। রাজ্যেও একদিনে করোনা আক্রন্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছেন ৯ হাজার। গতকালই রাজ্যের বিশিষ্ট চিকিত্সকেরা জানিয়েছেন আমরা করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের মধ্যে রয়েছি। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ওমিক্রনের আতঙ্ক। রাজ্যে কয়েকজনের দেহে ওমিক্রন পাওয়া গেলেও তা ব্যাপক হারে দেখা যায়নি। এরকম অবস্থায় শিশুরাও এই আতঙ্কের বাইরে নয়। কারণ তাদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়নি। তবে ভ্যাকসিন নিয়েও করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে।
সম্প্রতি দিল্লির ম্যাক্স হাসপাতালের পালমনোলজি বিভাগের চিকিত্সক বিবেকে নাঙ্গিয়া জানিয়েছেন কোভিড-১৯ বা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের মতো মারাত্মক নয় ওমিক্রন। তবে এর সংক্রমণ ক্ষমতা অনেক বেশি। বড়রা ভিড় থেকে ঘুরে ঘরে ফিরছেন। ফলে বাড়িতে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই। কিন্তু শিশুরা আক্রান্ত হলে বোঝা যাবে কীভাবে?
ওমিক্রন নিয়ে ইজারেয়লি চিকিত্সক আফশিন এমরানি অবশ্য কিছুটা আশ্বাসের বাণী শুনিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, ওমিক্রন খুবই মৃদ ভাইরাস। এক্ষেত্রে শিশিুদের ঝুঁকি অনেকটাই কম। ডেল্টাকে পুরোপুরি সরিয়ে দিচ্ছে ওমিক্রন। আমরা যা-ই করি শিশুদের ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়া ঠেকানো যাবে না।
বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকেরা জানাচ্ছেন শিশুদের মধ্যে
জ্বর, সর্দি, গলাব্যথা, হাতে পায়ে ব্যথা, শুকনো কাশি হলে চিকিত্সকের কাছে যেতে হবে। কারণ এগুলি ওমিক্রনের লক্ষণ হতে পারে। শিশুদের নিয়ে উদ্বেগের খুব বেশি কারণ না থাকলেও যাদের অন্য়ান্য জটিল অসুখ রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ওমিক্রন চিন্তার কারণ হতে পারে।
আরও পড়ুন-"বঙ্গ বিজেপিতে আমার গুরুত্ব নেই", নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোপ দেগে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন হিরণ
গতকাল করোনার এই বিপুল সংক্রমণ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেছেন রাজ্যের ৪ বিশিষ্ট চিকিত্সক। সেখানে ডা দীপ্তেন্দ্র সরকার বলেন, এবারের এই করোনা নিয়ে খুব সতর্ক থাকতে হবে। কারণ আমাদের হাতে প্যারাসিটামল ছাড়া তেমন কোনও ওষুধ নেই। বাকী চিকিত্সা সিম্পমেটিক। কলটেল দিয়ে যে চিকিত্সা সম্ভব জল্পনা রটছে সেটির কার্যকারিতা সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।
কীভাবে শিশুদের নিরাপদ রাখা যাবে? বড়দের মতোই তাদের মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। বড়দের মাথায় রাখতে হবে তারা যেন সংক্রমণ বাড়িতে না আনেন।