#WorldHeartDay: হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ ও বাঁচার উপায়
জেটগতির যুগেও কি অকালে হার্ট অ্যাটাক থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব? হ্যাঁ, সম্ভব। বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আসলে দরকার লাইফস্টাইলে পরিবর্তন। রোগকেও চিনতে শিখতে হবে। কীভাবে? দেখে নেওয়া যাক কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
ওয়েব ডেস্ক: জেটগতির যুগেও কি অকালে হার্ট অ্যাটাক থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব? হ্যাঁ, সম্ভব। বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আসলে দরকার লাইফস্টাইলে পরিবর্তন। রোগকেও চিনতে শিখতে হবে। কীভাবে? দেখে নেওয়া যাক কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন বা হু-র দেওয়া তথ্য বলছে, নিম্ন এবং মধ্যবিত্তদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাসকুলার ডিজিসে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে মৃত্যু হয় চারজনের। এবং এই রোগে পুরুষ এবং মহিলা, সমানভাবে আক্রান্ত হন দুপক্ষই। তবে কম বয়সে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের মতো রোগকে আশি শতাংশ ক্ষেত্রে প্রতিরোধ করা সম্ভব। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোগের লক্ষণ জানলে তা থেকে বাঁচার রাস্তাও হয়ে যায় অনেকটাই আসান। কিন্তু কী থেকে বুঝবেন আপনি হৃদরোগে আক্রান্ত? চিকিত্সকদের মতে,
হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ--
হৃদরোগের সব থেকে বড় উপসর্গ হঠাত্ই বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি
এছাড়াও রয়েছে শ্বাসকষ্ট, পাকস্থলির উপরের অংশের পেটে অসহনীয় ব্যথা, বাঁ হাতের উপরের অংশে ব্যথা, মাথা হালকা অনুভব করা। শরীরের উপরের অংশ যেমন পিঠ, গলা, ঘাড় বা চোয়ালে ব্যথা। রোগের লক্ষণ বুঝতে না পারার জন্য চিকিত্সার আগেই প্রাণ হারান অনেকেই। যদি রোগের লক্ষণ সম্পর্কে একটু ওয়াকিবহাল হলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার কমিয়ে আনা সম্ভব অনেকটাই।
এছাড়াও আরও বেশকয়েকটি সতর্ক পদক্ষেপ নিলে অনায়াসেই বেরিয়ে আসা সম্ভব হৃদরোগের সমস্যা থেকে।
সুস্থ থাকার উপায়---
১) পরিমিত আহার
বিশেষজ্ঞদের মতে, সুস্থ স্বাভাবিক হৃদয়ের জন্য পরিমিত আহার অত্যন্ত গুরুত্ব বিষয়। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে প্রচুর পরিমান মরশুমি ফল, শাক সব্জি, শস্য জাতীয় খাবার, মাছ এবং মাংস। তবে কমিয়ে ফেলতে হবে মাত্রাতিরিক্ত চিনি, নুন ও ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়া।
২) নিয়মিত স্বাস্থ্যচর্চা
প্রতিদিন ন্যূনতম তিরিশ মিনিট শরীর চর্চা সুস্থ হার্টের অন্যতম উপায়। তিরিশ মিনিট থেকে ধীরে ধীরে শরীর চর্চার সময় বাড়িয়ে একঘণ্টা করতে হবে। আর তাতেই ধরে রাখা সম্ভব সুস্থ শরীর।
৩) এড়িয়ে চলুন ধুমপান
যে কোনও রূপেই তামাক সেবন ডেকে আনে অকাল হৃদসমস্যাকে। তাই যে কোনও প্রকারেই এড়িয়ে চলুন সিগারেট, সিগার, বা গুটখার মতো তামাক জাতীয় দ্রব্য। সমীক্ষায় দেখা গেছে কোনও ব্যক্তি তামাক সেবন বন্ধ করার পর থেকেই কমতে শুরু করে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের মতো রিস্ক ফ্যাক্টরগুলি।
এছাড়াও ব্লাড প্রেসার , ব্লাড সুগার ও ব্লাড কোলেস্টরলের মতো রোগ সম্পর্কে আগেভাগেই সচেতন হলে মিলবে হৃদয়যন্ত্রণা থেকে মুক্তি।