করোনার বিরুদ্ধে সবচেয়ে ‘সফল’ অক্সফোর্ডের টিকার একটা বিষয়ে এখনও ধোঁয়াশায় বিজ্ঞানীরা!

তৃতীয় তথা শেষ পর্যায়ের ট্রায়ালে ৮,০০০ স্বেচ্ছাসেবকের উপর এই প্রতিষেধক প্রয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু এখনও এই প্রশ্নের উত্তর মেলেনি।

Edited By: সুদীপ দে | Updated By: Jul 2, 2020, 11:56 AM IST
করোনার বিরুদ্ধে সবচেয়ে ‘সফল’ অক্সফোর্ডের টিকার একটা বিষয়ে এখনও ধোঁয়াশায় বিজ্ঞানীরা!
—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন: অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি প্রতিষেধকটির শেষ পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। ইতিমধ্যেই এই প্রতিষেধকের উৎপাদনের কাজ শুরু করে দিয়েছে ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট ‘অ্যাস্ট্রা জেনিকা’ (AstraZeneca) আর বিশ্বের বৃহত্তম টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটও (Serum Institute of India)। এই টিকার উৎপাদনের কাজ শুরু হবে ব্রাজিলেও। এরই মধ্যে এই প্রতিষেধকের একটা বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হতে পারছেন না অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীরা।

অক্সফোর্ডের প্রতিষেধক বিশেষজ্ঞ সারা গিলবার্ট বুধবার জানান, করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সফল হয়েছে এই টিকা। একাধিক পরীক্ষায় তার প্রমাণও মিলেছে। তবে মানুষের শরীরে প্রয়োগের ঠিক কতক্ষণের মধ্যে এই প্রতিষেধক সক্রিয় ভাবে ক্রিয়াশীল হবে, সে বিষয়ে এখনও কোনও সুনির্দিষ্ট ধারণা মেলেনি। তিনি আরও জানান, তৃতীয় তথা শেষ পর্যায়ের ট্রায়ালে ৮,০০০ স্বেচ্ছাসেবকের উপর এই প্রতিষেধক প্রয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু এখনও এই প্রশ্নের উত্তর মেলেনি।

এই মুহূর্তে একশোটিরও বেশি করোনা প্রতিষেধক নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে বিশ্বজুড়ে। এর মধ্যে অন্তত ১২টি প্রতিষেধকের হিউম্যান ট্রায়াল চলছে। করোনার চিকিৎসায় তিনটি টিকার আনুষ্ঠানিক প্রয়োগ বা টিকাগুলির বাজারে আসা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। তবে এই করোনা প্রতিষেধকের দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি টিকা! এমনটাই মত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার।

আরও পড়ুন: 'অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের জানানোর আগেই করোনার চিকিৎসায় স্টেরয়েডের প্রয়োগ শুরু হয়েছিল ভারতে!'

সম্প্রতি সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী ডঃ সৌম্য স্বামীনাথন বলেন, “করোনার প্রতিষেধক তৈরির ক্ষেত্রে কে কতটা অগ্রসর হয়েছে, সেই পর্যায়ে বিবেচনা করে আমার মনে হয়, সম্ভবত অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি টিকাই শীর্ষস্থানীয়।” তবে করোনা প্রতিষেধকের দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা অক্সফোর্ডের টিকার ক্ষেত্রে ঠিক কতক্ষণের মধ্যে এটি মানুষের শরীরে সক্রিয় ভাবে ক্রিয়াশীল হবে, তা না জানা পর্যন্ত নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না বিজ্ঞানীরা।

.