ইউরিক অ্যাসিড কী? এর জন্য কী কী সমস্যা হয়? কী করবেন?
ইউরিক অ্যাসিড সম্পর্কে আমাদের অনেক ভ্রান্ত ধারণা আছে। সঠিক তথ্য কী, চলুন জেনে নেওয়া যাক...
নিজস্ব প্রতিবেদন: ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়ার সমস্যার সঙ্গে আমরা অনেকেই পরিচিত। কারণ, শরীরে উচ্চ মাত্রার ইউরিক অ্যাসিডের উপস্থিতির ফলে হতে পারে গেঁটে বাত বা গিঁটে গিঁটে ব্যথার মতো একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা। রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়তি দেখে অনেকেই দুশ্চিন্তায় খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেন। ইউরিক অ্যাসিড সম্পর্কে আমাদের অনেক ভ্রান্ত ধারণা আছে। সঠিক তথ্য কী, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ইউরিক অ্যাসিড বাড়ে কেন?
মূত্রের মাধ্যমে যে পরিমাণ ইউরিক অ্যাসিড স্বাভাবিক ভাবে বেরিয়ে যায়, আমাদের যকৃত যখন তার চেয়ে বেশি পরিমাণ ইউরিক অ্যাসিড তৈরি করে, তখনই রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এ ছাড়া স্বাভাবিক অবস্থায় খাবার থেকে উৎপন্ন ইউরিক অ্যাসিড রক্তে মিশে গিয়ে তা কিডনিতে পৌঁছায় এবং কিডনি এই টক্সিক উপাদানকে ছেঁকে বের করে দের শরীরের বাইরে।
দৈনন্দিন ব্যস্ততার চাপে আমরা এমন অনেক খাবার প্রায়ই খাই যা রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা এতটাই বাড়িয়ে দেয় যে কিডনি সেই অতিরিক্ত অ্যাসিড শরীর থেকে বের করতে পারে না। ফলে ক্রমশ আপনার শরীরের বাড়তে থাকে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা। এর ফলে স্বাভাবিক ভাবেই আপনি অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হাঁটু-সহ বিভিন্ন অস্থিসন্ধিতে ইউরিক অ্যাসিড জমা হতে থাকে এবং তাতে অস্থিসন্ধি ফুলে যায় এবং ব্যথা হতে থাকে।
ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় কী কী খাবার খাওয়া নিষেধ?
আসলে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় খাবার-দাবারে নিয়ন্ত্রণের তেমন একটা প্রয়োজন নেই। অতিরিক্ত পিউরিনযুক্ত খাবার, যেমন লাল মাংস (রেড মিট), লাল মদ (রম), সামুদ্রিক মাছ কম খাওয়া উচিত্। উচ্চ প্রটিন যুক্ত খাবার, যেমন মাছ-মাংস, মুসুড়ির ডাল, রাজমা, কিছু সবুজ সবজি (পালং শাক) এড়িয়ে চলুন। এরই সঙ্গে মনে রাখবেন, উচ্চ মাত্রায় চিনি খাওয়াও হতে পারে ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির একটা বড় কারণ। দেহে উচ্চ মাত্রার ইউরিক অ্যাসিডের উপস্থিতির কারণে হতে পারে গেঁটে বাত, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি সমস্যা-সহ নানা রকমের অসুখ।
কী করবেন?
জেনে নিন শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার ও ইউরিক অ্যাসিড শরীর থেকে বের করে দেওয়ার একটি সহজ কৌশল। স্বাভাবিক অবস্থায় শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের নির্দিষ্ট মাত্রা হল, পুরুষের ক্ষেত্রে: ৩.৪–৭.0 mg/dL এবং মহিলার ক্ষেত্রে: ২.৪–৬.0 mg/dL। এর চেয়ে বেশি হলে তা নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত প্রয়োজন।
ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণের কাজে আপনাকে সহায়তা করবে খুবই সাধারণ একটি জিনিস, যার নাম অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার। এর দাম খুব বেশি চড়া নয়। অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার কিনুন। ১ চা চামচ ভিনেগার নিন, এক গ্লাস জলের সঙ্গে মিশিয়ে পান করে ফেলুন। দিনে অন্তত ২-৩ বার এই মিশ্রণ পান করুন নিয়মিত। অরগানিক ও অপাস্তুরিত ভিনেগার হলেই সবচেয়ে ভাল কাজ দেবে।