Omicron XE: "স্বেচ্ছায় মাস্ক ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়া হোক", নয়া প্রজাতি আতঙ্কের মাঝেই মত বিশেষজ্ঞদের
ইতিমধ্যেই দেশে উঠেছে মাস্ক বিধির কঠোর নির্দেশিকা। কিন্তু এই নিয়ম শিথিলে দেশে ফের ওমিক্রনের নয়া প্রজাতির হাত ধরে চতুর্থ ঢেউ আসতে পারে বলে মত প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিশ্বজুড়ে ফের আতঙ্ক সৃষ্টি করছে ওমিক্রনের নতুন প্রজাতি। একাধিক দেশে XE ভাইরাস নিয়ে চিন্তা বেড়ে চলেছে। চিন, ব্রিটেনে বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যাও। এই পরিস্থিতিতে ভারতে ওমিক্রনের নতুন প্রজাতি নিয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত বলেই মত প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যেই দেশে উঠেছে মাস্ক বিধির কঠোর নির্দেশিকা। কিন্তু এই নিয়ম শিথিলে দেশে ফের ওমিক্রনের নয়া প্রজাতির হাত ধরে চতুর্থ ঢেউ আসতে পারে বলে মত প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
এ প্রসঙ্গে তারা এও বলেছেন যে মাস্ক বিধি নিয়ে কড়াকড়ি উঠলেও দেশের জনগণকে স্বেচ্ছায় মাস্ক পরার ক্ষেত্রে উৎসাহ দেওয়ার কথা জানান হয়। প্রায় আড়াই বছর ধরে কঠোর মাস্ক বিধি আরোপিত ছিল দেশে। যদিও এখন মহারাষ্ট্র, দিল্লি সহ একাধিক শহরে মাস্ক বিধি সম্পূর্ণভাবে উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। এর আগে মাস্ক না পরলে এই দুই শহরে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হত।
ওমিক্রনের BA.1 এবং BA.2 উপপ্রজাতির সংমিশ্রণের ফলেই XE প্রজাতির উৎপত্তি। নতুন এই প্রজাতি ওমিক্রনের তুলনায় ১০ গুণ বেশি সংক্রামক বলে বিশেষজ্ঞদের দাবি। তবে ফোর্থ ওয়েভের এই ভয়ের মধ্যেই ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশন (এনটিজিআই) প্রধান এন কে অরোরা সোমবার বলেছেন যে "আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই" কারণ এখানে রিপোর্ট করা কোনও ক্ষেত্রেই গুরুতর সংক্রমণ ঘটেনি।
এদিকে, ব্রিটেনের হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সি জানায়, XE ভাইরাসের উপসর্গ করোনার অন্যান্য প্রজাতির উপসর্গের মতোই। হাঁচি এবং গলা ব্যথার মতো উপসর্গ থাকছে। এছাড়াও জ্বর, কাশি এবং স্বাদ বা গন্ধ হারানোর মতো লক্ষণও রয়েছে। শ্বাসকষ্ট, ক্লান্ত বোধ, শরীরে ব্যথা, মাথাব্যথা, গলা ব্যথা, নাক বন্ধ বা সর্দি, খাওয়ার ইচ্ছে কমে যাওয়া, ডায়রিয়ার মতো উপসর্গও থাকছে।