ভুলেও এই পাঁচ রকমের ব্যথাকে অবহেলা করবেন না!

কোন কোন ধরণের ব্যথাকে ফেলে না রেখে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত, জেনে নিন...

Edited By: সুদীপ দে | Updated By: Dec 29, 2019, 07:28 PM IST
ভুলেও এই পাঁচ রকমের ব্যথাকে অবহেলা করবেন না!

নিজস্ব প্রতিবেদন: আমাদের শরীরের নানা জায়গায় মাঝে মধ্যেই টুকটাক ব্যথা হয়। কখনও কম, কখনও বেশি— এ সব ব্যথাকে আমরা অধিকাংশ সময়েই তেমন একটা গুরুত্ব দিতে চাই না। অথচ এ সব ব্যথাই বড় কোনও সমস্যার প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে যা ভবিষ্যতে প্রাণঘাতী পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে! তাই এ সব ব্যাথাকে মোটেই অবহেলা করা উচিত নয়। তাই জেনে নেওয়া উচিত, কোন কোন ধরণের ব্যথাকে ফেলে না রেখে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। জেনে নিন তেমন কিছু শারীরিক ব্যথা সম্পর্কে যেগুলি একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়।

১) পিঠের মাঝামাঝি জায়গায় ব্যথা, জ্বর এবং ক্লান্তিকে একেবারেই অবহেলা করা উচিত হবে না। কারণ, এগুলি হতে পারে কিডনি বড়সড় সমস্যার আগাম লক্ষণ। কিডনিতে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ এবং ইউরিন ইনফেকশনের জন্য এ ধরণের ব্যাথা হতে পারে।

২) হঠাৎ করে যদি মাথায় অস্বাভাবিক যন্ত্রণা শুরু হয় এবং মাথার ব্যথায় দৃষ্টিশক্তি ঘোলাটে হতে শুরু করে, তাহলে বিষয়টিকে অবহেলা করা একেবারেই উচিত হবে না। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, কোনও আঘাত, টিউমার ইত্যাদির কারণে মাথায় এ ধরণের অস্বাভাবিক ব্যথা হতে পারে। তাই এই পরিস্থিতিতে জরুরী ভিত্তিতে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

৩) ঋতুস্রাব বা মাসিকের সময়ে যদি অস্বাভাবিক পেটে ব্যথা থাকে এবং সেই ব্যথা যদি সহজে না কমে, তাহলে বিষয়টা একেবারেই অবহেলা করবেন না। কারণ, নানা ধরণের গাইনি সমস্যার কারণে ঋতুস্রাব বা মাসিকের সময়ে তীব্র ব্যথা হতে পারে। তাই এই পরিস্থিতিতে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

৪) আপনার দাঁত ব্যাথার মাত্রা যদি এতোটাই বৃদ্ধি পায় যে, মাঝ রাতে গভীর ঘুমেও দাঁত ব্যথার কারণে ভেঙে যায়, তাহলে আপনার দ্রুত দাঁতের ডাক্তার দেখানো উচিত। দাঁতের ছিদ্রের মাধ্যমে ইনফেকশন মাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়ার কারণে এই ধরণের দাঁত ব্যথা হতে পারে আপনার।

আরও পড়ুন: হজমের সমস্যায় কাবু? ভাল থাকুন এই ৬ কৌশলে

৫) তল পেটের ডান দিকে ব্যথা যদি ২৪ ঘন্টার বেশি সময় পর্যন্ত স্থায়ি হয় এবং ব্যাথার স্থান যদি ঘন ঘন তল পেটের নানা অংশে ঘোরাফেরা করতে থাকে তাহলে এটা অ্যাপেন্ডিসাইটিসের লক্ষণ হতে পারে। এমন অবস্থায় অবশ্যই জরুরী ভিত্তিতে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত। চিকিৎসকই বলতে পারবেন, যে এ ক্ষেত্রে অস্ত্রপচার করা কতটা জরুরি বা কখন করা উচিত।

.