অসহায় মায়ের আর্তি, ছ বছরের বরুনের হৃদপিন্ডটাই বুকের উপরে!
রুশ উপকথাই তো গোটা বিশ্বের মানুষকে ’’ইমাজিনেশন’’ করতে শেখায়। আর সেই মানুষ বড় হয়ে শেখে ‘’ভিজুয়ালাইজেশন’’। তাই বোধহয়, এমন একটা ভযঙ্কর ‘’ভিজুয়ালাইজেশন’’ করার জন এক ফুটফুটে রুশ মেয়েকেই বেশি পছন্দ হল ঈশ্বরের।
ওয়েব ডেস্ক: রুশ উপকথাই তো গোটা বিশ্বের মানুষকে ’’ইমাজিনেশন’’ করতে শেখায়। আর সেই মানুষ বড় হয়ে শেখে ‘’ভিজুয়ালাইজেশন’’। তাই বোধহয়, এমন একটা ভযঙ্কর ‘’ভিজুয়ালাইজেশন’’ করার জন এক ফুটফুটে রুশ মেয়েকেই বেশি পছন্দ হল ঈশ্বরের।
ভিরসাভিযা বরুন, মেয়েটির বয়স এখন ৬ বছর। জন্ম থেকেই মনটা তাঁর বাইরের আলো দেখার জন্য আনচান করে। তাই তো, ঈশ্বর বোধহয়, তাঁর সঙ্গে এ খেলাটা খেলেছেন। ওর হৃদপিন্ডটাই দিয়েছেন শরীরের বাইরে করে।
হ্যাঁ, ছবিটা আরও একবার ভাল করে দেখে নিন। বরুনের হৃদপিন্ডটা ওর বুকের ভিতরে নয়। বুকের উপরে আর তলপেটের উপরে বাইরের দিকে রয়েছে এভাবেই জন্মেছে সে।
এমন রোগের সম্ভবনা ১০ লক্ষ শিশু জন্মালে মাত্র সাড়ে পাঁচজনের ক্ষেত্রে হতে পারে। বরুন সেই ব্যতিক্রমী দুর্ভাগা শিশুদের মধ্যে একজন। জন্ম থেকেই শরীরের বাইরে থাকা ওর হৃদপিন্ডটা একটা পাতলা চামড়ার আস্তরণে ঝুলছে। হাসিখুশি মেয়েটার চিকিত্সার জন্য ওর মা তাই ওকে নিয়ে এসেছে আমেরিকার বস্টনে।
তবে, চিকিত্সকরা এখনই ওর শরীরের উপর অস্ত্রোপচার করতে পারছেন না। তার কারণ, বরুনের রয়েছে উচ্চ রক্তচাপ। দারি বরুন বাচ্চাটির মা। বলেছেন, ‘’আমি যখন গর্ভবতী ছিলাম, তখন ডাক্তাররা বলেছিলেন, আপনার বাচ্চা মারা যাবে। বাঁচবে না। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, মেয়েটা আমার বেঁচে আছে।’’
ওই টুকু বাচ্চা বরুন, অবশ্য অত সত বোঝে না। সে জানে মনের আনন্দে খেলতে। শুধু মনের ইচ্ছেতে আঁকে, আর নাচে। হৃত্পিন্ড বাইরে না ভিতরে, তা দিয়ে ওর কোনও চিন্তা নেই। ওর ওই হাসিখুশি মনটা থাকলেই হল। তবে, বরুনের মা সবার কাছে আবেদন করছেন, কিছু টাকা দিয়ে যদি ওঁকে সাহায্য করা হয়। ভদ্রমহিলার ওই মেয়েটি ছাড়া যে আর কেউ নেই। চিকিত্সার এত টাকা কোথা থেকে খরচ করবেন! আপাতত, বস্টন থেকে ফ্লোরিডার দিকে যাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে মা-মেয়ের। কারণ, বস্টনে যে বড্ড ঠাণ্ডা পড়েছে। বরুনের মনে কষ্ট হয়। আর ডাক্তাররাও বলে দিয়েছেন, অস্ত্রপ্রচার হবে অন্তত বছর দুয়েক পর। ততদিন কী হবে?
কী আবার বরুনের বুকের ভিতরে চলুক রুশ বিপ্লব। আর বাইরে ওই কোমল মনটা দুলিয়ে দিক সব্বাইকে। সত্যি কলজের জোর আছে মেয়েটার।