কেমোথেরাপির দিনগুলিতে এই বিষয়গুলি মাথায় রাখুন
চিকিত্সকদের মতে, ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী যদি মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন, সে ক্ষেত্রে চিকিত্সায় সাড়া মেলায় সম্ভাবনা আরও কমে যায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ক্যান্সার শরীরে বাসা বেঁধেছে— এ কথা জানার পরেই যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ে আমাদের মাথায়। কেমো (কেমোথেরাপি) নেওয়া শুরু হয়ে গেলে কয়েক দিনের মধ্যেই জীবনটা পুরোপুরি পাল্টে যায়। সারাক্ষণ যেন মনে হতে থাকে, এই শুরু হয়ে গেল দিন গোনার পালা... বা বাঁচার আর কোনও আশাই নেই... ইত্যাদি। খুব দ্রুত হতাশা গ্রাস করে ক্যান্সার আক্রান্ত ও তাঁর পরিবারকে। চিকিত্সকদের মতে, ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী যদি মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন, সে ক্ষেত্রে চিকিত্সায় সাড়া মেলায় সম্ভাবনা আরও কমে যায়। তাই এই পরিস্থিতিতে কয়েকটি জরুরি পরামর্শ ক্যান্সার আক্রান্তকে সাহায্য করতে পারে, জোগাতে পারে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে বাঁচার লড়াইয়ে টিকে থাকার মানসিক শক্তি।
১) কেমোথেরাপি চলার সময়ে খাওয়া দাওয়া করাটা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। অকারণেই বমি হয়। এ কারণে আপনার প্রিয় খাবারটি এ সময়ে না খাওয়াই ভাল। কারণ, অতি প্রিয় খাবারটি খাওয়ার পর পরই যদি বমি হতে থাকে তবে ওই খাবার খাওয়ার প্রতি একটা অনিচ্ছা, অরুচি পরবর্তিকালে কাজ করতে পারে।
২) কেমো নেবার আগে হয়তো ঘরের অনেক কাজ আপনি নিজেই করতেন। কিন্তু কেমো (কেমোথেরাপি) নেওয়া শুরু হয়ে গেলে আর সে সব কাজ করতে পারবেন না।
৩) নিজের যে কোনও সমস্যার কথা আশেপাশের মানুষকে জানান। বিশেষ করে নিজের চিকিত্সককে সব খুঁটিনাটি সমস্যার কথা বলুন। আপনার যদি কোনও ব্যাপারে মন খুঁতখুঁত করতে থাকে, তাহলে চেপে রাখবেন না। কারণ, আপনার কী সমস্যা হচ্ছে, তা আপনিই সবচেয়ে ভাল বুঝবেন আর আপনিই তা বোঝাতে পারবেন।
৪) কেমো নেবার পর প্রচুর জল পান করা উচিত। এতে ঘন ঘন প্রশ্রাব হয়। শরীরেও নানা রকম অস্বস্তি লাগতে পারে। তাই কেমো নেবার দিন খোলামেলা, আরামদায়ক জামা-কাপড় পড়া উচিত।
৫) কেমো নেবার পর বেশিরভাগ ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীই ঘুমিয়ে থাকেন। আর সেটাই স্বাভাবিক। চিকিত্সকদের মত, এই সময়টা যতটা সম্ভব বিশ্রাম নেওয়া উচিত। তবে মানসিক সুস্থতার জন্য অনেক ক্যান্সার আক্রান্তকেই এ সময়টায় নিজের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বজায় রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিত্সকরা। কিন্তু কোনও ক্ষেত্রেই শরীরকে কষ্ট দেওয়া চলবে না।