অসহ্য ব্যথা কমাতে সাহায্য করছে করোনাভাইরাসের প্রোটিন! চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলল গবেষণায়

ভাইরাস বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আসলে এই অসহ্য ব্যথা কমাতে সাহায্য করছে করোনাভাইরাসের প্রোটিন!

Edited By: সুদীপ দে | Updated By: Oct 11, 2020, 06:30 PM IST
অসহ্য ব্যথা কমাতে সাহায্য করছে করোনাভাইরাসের প্রোটিন! চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলল গবেষণায়
—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনায় আক্রান্ত হলে কমে যাচ্ছে দীর্ঘদিনের ব্যথা-বেদনা। আবার করোনার সংক্রমণ কাটিয়ে সেরে উঠলেই ফিরছে পুরনো যন্ত্রণা! ভাইরাস বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আসলে এই অসহ্য ব্যথা কমাতে সাহায্য করছে করোনাভাইরাসের প্রোটিন!

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ‘পেইন’ জার্নালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (University of Arizona) একদল গবেষক দাবি করেছেন, ব্যথা উপশমের ক্ষেত্রে করোনাভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনেরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাঁদের মতে, ক্যান্সারের যন্ত্রণা বা বাতের ব্যথা উপশমের ক্ষেত্রে করোনাভাইরাসের এই স্পাইক প্রোটিনকে কাজে লাগানো যেতে পারে।

অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষক দলের অন্যতম সদস্য, এই গবেষণাপত্রের লেখক ভারতীয় বংশদ্ভুত অধ্যাপক ডঃ রাজেশ খান্না। তাঁর মতে, করোনাভাইরাসের প্রোটিন যদি ব্যথা উপশমে সহায়ক হতে পারে, তাহলে একই সঙ্গে দীর্ঘদিনের অসহ্য ব্যথা হঠাৎ করে কমে যাওয়া ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির আগাম ইঙ্গিতও হতে পারে।

অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের দাবি, পেনকিলারের কাজ করছে ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিন। মস্তিষ্কে যন্ত্রণাবাহী অনুভূতি পৌঁছানোর পথ বন্ধ করে দিয়ে, স্নায়ুগুলিকে অসাড় করে দিয়ে ব্যথা-বেদনার অনুভূতিকে নিষ্ক্রিয় করে দেয় এই প্রটিন। ফলে যত ব্যথাই হোক, আমাদের শরীর বা মস্তিষ্ক তা টের পায় না।

বিশেষজ্ঞদের মতে, নিউরোফিলিনের মাধ্যমেই যন্ত্রণার অনুভূতি মস্তিষ্কে পৌঁছায়। কোনও কারণে শরীরে আঘাত লাগলে বা প্রদাহ হলে শরীরে ‘ভাসকুলার এন্ডোথেলিয়াল গ্রোথ ফ্যাকটর’ (VEGF-A) নামে এক বিশেষ প্রোটিন তৈরি হয়। শরীরে ব্যথা-বেদনার অনুভূতি তৈরির জন্য দায়ি এই বিশেষ প্রোটিন।

গবেষকদের দাবি, করোনাভাইরাসের এই স্পাইক প্রোটিন ‘ভাসকুলার এন্ডোথেলিয়াল গ্রোথ ফ্যাকটর’ প্রোটিনের কার্যকারিতা নষ্ট করে দিচ্ছে। ফলে শরীরে ব্যথা-বেদনার অনুভূতি তৈরি হচ্ছে না বা যন্ত্রণার অনুভূতি মস্তিষ্কে পৌঁছাচ্ছেই না।

করোনাভাইরাসের এই স্পাইক প্রোটিনের আশ্চর্য ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে ‘অ্যানালজেসিক’ তৈরির কথা ভাবছেন বিজ্ঞানীরা। এ বিষয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন ডঃ রাজেশ খান্না।

.