Women Health: মিল আছে অনেক, মেনোপজের সমস্যা ভেবে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ এড়াচ্ছেন না তো?
Women Health: মহিলাদের মধ্যে হার্ট অট্যাকের সম্ভবনা প্রবল। হার্ট অট্যাকের এবং মেনোপজের এক রকম উপসর্গ থাকায় অনেক ক্ষেত্রে মহিলারা তা এড়িয়ে যান। দেখে নিন এই রোগের কিছু কারণ এবং তা প্রতিরোধ করার কিছু সহজ উপায়...
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পুরুষদের তুলনায় মহিলারা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা অনেক বেশি। সাম্পতিক একটি গবেষণায় উঠে এসেছে এই নতুন তথ্য। তবে এটাও ঠিক যে মহিলা ও পুরুষদের মধ্যে হৃদরোগের উপসর্গগুলি অনেকক্ষেত্রেই আলাদা হয়। বহু মহিলার ক্ষেত্রে মূলত দেখা যায় ক্লান্তি, বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা, শ্বাসকষ্ট,কাঁধ ও ঘাড়ে ব্যথার মতো উপসর্গ। মহিলারা প্রায়শই এই লক্ষণগুলি উপেক্ষা করেন। যদিও অনেক সময় এই উপসর্গগুলি দেখা নাও যেতে পারে। কিন্তু উপসর্গ না থাকলেও এই বিষয়গুলি নজরে না রাখলে বিপদ হতে পারে। অবশ্য হার্ট অ্যাটাক এবং মেনোপজের সময় মহিলারা যে লক্ষণগুলি অনুভব করেন তা একরকম হতে পারে। দেখা যাক বিশেষজ্ঞদের মতে, কী কী কারণে মহিলাদের হার্ট অট্যাকের আশঙ্কা বেড়ে যায়...
মহিলাদের ঘন ঘন হার্ট অট্যাকের সবচেয়ে বড় কারণ হল উচ্চ রক্তচাপ,করোনারি আর্টারি ডিজিজ, ভালভ ডিজিজ এবং ডায়াবেটিস মেলিটাস। খুব বেশি কোলেস্টেরল,অতিরিক্ত ওজনের মতো সমস্যাও একেবারেই ভাল নয়। অতএব, এরম সমস্যা থাকলে নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো দরকার। মহিলাদের হৃদযন্ত্রের অকেজো হওয়ার আরও একটি নির্দিষ্ট কারণ হল করোনারি পেরিপার্টাম কার্ডিওমায়োপ্যাথি। যদিও এটি বিরল। তবে মেনোপজে পৌঁছনোর পর মেনোপজের প্রভাব বিবেচনা করে হার্ট অ্যাটাকের কিছু লক্ষণ উপেক্ষা করা যেতে পারে। শরীরে ইস্ট্রোজেন থাকার কারণে নারীরা হার্ট অ্যাটাক ও হৃদরোগ থেকে প্রাকৃতিক সুরক্ষা পান। ইস্ট্রোজেন রক্তে জমাট বাঁধতে দেয় না। তার পশাপাশি এটি রক্তের প্রবাহ বাড়াতেও সাহায্য করে। তাছাড়া ইস্ট্রোজেন এইচডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে এবং অন্যদিকে এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
মেনোপজের পর শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা অনেকটাই কমে যায়। শরীরে হঠাৎ এই পরিবর্তনের কারণে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন, মহিলাদের হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারে। এছাড়াও মেনোপজের পরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা কমে যাওয়ায় বহুক্ষেত্রে জীবনের ঝুঁকিও হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মহিলাদের মেনোপজ ৫০ বছর বয়সের পর যে কোনও সময় হয়। তবে কখনও কখনও তা ৪০ বছর বয়সেও হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রত্যেক মহিলার সপ্তাহে কিছুটা সময় শরীরচর্চা করা উচিত। সেই সঙ্গে রোজ অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা প্রয়োজন। মদ্যপান এড়ানো, স্বাস্থ্যকর খাবার, ধূমপান ত্যাগ করা, ওজন বজায় রাখা এবং শরীরের অন্যান্য বিষয়গুলির যত্ন নিলে মহিলাদের হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।