দৈনিক ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে পাঁচটি জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ সংস্থান - 5 paisa - IIFL



দৈনিক ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে পাঁচটি জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ সংস্থান – 5 paisa

ইন্ট্রাডে ট্রেডিং অথবা ডে ট্রেডিংয়ের অর্থ হচ্ছে, দিনের শেষে বাজার বন্ধ হওয়ার আগে সিকিউরিটিজ ক্রয় অথবা বিক্রয় করতে হবে। তবে এ-ক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণে অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয়। যা লাভ-ক্ষতির উপর প্রভাবও ফেলতে পারে।

Written by Web Desk Team | Published :August 27, 2022 , 6:28 pm IST

ইন্ট্রাডে ট্রেডিং অথবা ডে ট্রেডিংয়ের অর্থ হচ্ছে, দিনের শেষে বাজার বন্ধ হওয়ার আগে সিকিউরিটিজ ক্রয় অথবা বিক্রয় করতে হবে। তবে এ-ক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণে অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয়। যা লাভ-ক্ষতির উপর প্রভাবও ফেলতে পারে।

অন্য দিকে আবার, যাঁরা কম সময়ে বেশি পরিমাণ মুনাফা লাভ করতে চান, তাঁদের জন্য এটা অন্যতম ভাল পথ। দীর্ঘমেয়াদী লাভের তুলনায় স্বল্পমেয়াদী প্রাইস মুভমেন্টের উপরেই বেশি আগ্রহ দেখিয়ে থাকেন ডে-ট্রেডাররা।

স্টক মার্কেট অনবরত ওঠা-নামা করে। আর মিনিটে মিনিটে পরিবর্তিত হয় ট্রেন্ড। এর ফলে এক মুহূর্তে এটা লাভজনক হতে পারে, আবার আর এক মুহূর্তে সেটাই ক্ষতির মুখ দেখাতে পারে।

ধরা যাক, এক জনকে সমস্ত রকমের প্রাসঙ্গিক আপডেট রাখতে হবে। ব্যবহার করতে হবে সঠিক কৌশল এবং বিভিন্ন ট্রেন্ডের অভিজ্ঞতাও সঞ্চয় করতে হবে। তাতে আরও মুনাফা অর্জন করা, ক্ষতি এড়ানো এবং জনপ্রিয় ট্রেডার হয়ে ওঠা সম্ভব হবে।

তবে একেবারেই যে ক্ষতি হবে না, তা নিশ্চিত ভাবে বলা যায় না। আসলে এমন কোনও ট্রেডার নেই, যিনি নিজের অর্থ বাজারে খোয়াননি। তাছাড়া বাজার বরাবরই ভীষণ অনিশ্চিত। আর তেমনই থাকবে। এমনও দেখা গিয়েছে যে, সেরা কৌশল অবলম্বন করেও তা কাজে আসেনি।

জীবনের অধ্যায়ের মতোই একটাই জিনিস আমরা করতে পারি, সেটা হল – আমাদের নিজেদের সেরাটা দিতে পারি আমরা। ট্রেডার হিসেবে কিছু নির্দিষ্ট কৌশল অবলম্বন করার পাশাপাশি রেফারেন্সগুলোকেও কাজে লাগাতে হবে। এ-ছাড়া তথ্য, জ্ঞান এবং সংস্থানকেও বুদ্ধি খাটিয়ে কাজে লাগানো উচিত।

রিয়েল-টাইম মার্কেট ডেটা এবং বার্তা:

ইন্ট্রাডে ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে বাজারের পরিস্থিতি অনবরত বদলে যেতে থাকে। ফলে ট্রেডারদের সব সময় এই বিষয়ে ওয়াকিবহাল থাকতে হবে। রিয়েল-টাইম মার্কেট ডেটা এবং তথ্যই স্টক ট্রেন্ড চিহ্নিত করতে সাহায্য করবে। এতে ভাল ভাবে অবস্থা বুঝতে সুবিধা হবে। এ-ছাড়াও কোথায় টাকা রাখা যাবে, সেটাও বুঝতে সাহায্য করবে এই বিষয়টা। এই ধরনের তথ্যের প্রভাব এবং তাৎপর্যের কারণে ব্যবসায়ীরা এই আপডেটগুলির অ্যাক্সেস পেতে যথেষ্ট অর্থ ব্যয় করে থাকেন।

ইলেকট্রনিক কমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক (ইসিএন):

একটি ইলেকট্রনিক কমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক বা ইসিএন হল একটি কম্পিউটারাইজড ব্যবস্থা, যা স্বয়ংক্রিয় ভাবে বাজারের সিকিউরিটির বাই এবং সেল অর্ডার ম্যাচ করে। যখন ট্রেডাররা বিভিন্ন ভৌগোলিক অবস্থানে থেকে কোনও থার্ড পার্টির সাহায্য ছাড়াই নিরাপদে লেনদেন সম্পূর্ণ করতে চান, তখন সে-ক্ষেত্রে ইসিএন ট্রেডিং বেশ সহায়ক হয়ে ওঠে।

আসলে প্রাতিষ্ঠানিক এবং স্বতন্ত্র ট্রেডারদের মধ্যে বাই এবং সেল অর্ডার ম্যাচ করায় ইসিএন। এমনকী উপলব্ধ সেরা বিড এবং আস্ক কোটও প্রদর্শন করে, যা ট্রেডারদের সেরা চুক্তির ক্ষেত্রে সহায়ক হয়ে ওঠে।

সিকিউরিটিজ প্রাইস চার্ট:

বিনিয়োগ এবং সিকিউরিটিজের বিশ্লেষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে প্রাইস চার্ট। ইন্ট্রাডে ট্রেডিংয়ের জন্য এটি বিশ্লেষণের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত রূপগুলির মধ্যে একটি। আর ট্রেডারদের ক্ষেত্রে ক্যান্ডেলস্টিক চার্ট হল সবথেকে পছন্দসই চার্টগুলির মধ্যে অন্যতম।

পূর্ববর্তী প্যাটার্নের উপর ভিত্তি করে ট্রেডারদের সম্ভাব্য প্রাইস মুভমেন্ট স্থির করতে সাহায্য করে ক্যান্ডেলস্টিক চার্ট। এগুলি বেশ সম্পদশালী কারণ এটা ট্রেডার দ্বারা নির্দিষ্ট করা সময়ের জন্য চারটি প্রাইস পয়েন্ট প্রদর্শন করে। যথা – ওপেন, ক্লোজ, হাই এবং লো।

মূল প্যারামিটার:

ডে ট্রেডিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু প্যারামিটার রয়েছে। যথা – অস্থিরতা, ট্রেডিং ভলিউম এবং লিক্যুইডিটি। অস্থিরতার কারণে ট্রেডাররা স্বল্পমেয়াদী মূল্য পরিবর্তন থেকে অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন। একটা সিকিউরিটি কত বার কেনা অথবা বিক্রি করা হবে, তা চিহ্নিত করতে সাহায্য করে ট্রেডিং ভলিউম। সিকিউরিটিজের ইন্টারেস্টের সন্ধান পেতেও সাহায্য করে এটি। বিড-আস্ক এর ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে লিক্যুইডিটি। ইন্ট্রাডে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের জন্য লো বিড-আস্ক স্প্রেড গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি লেনদেনের খরচ কমাতে সাহায্য করে।

ডে ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ট্রেডিংকে সফল করতে সারা দুনিয়ার ট্রেডাররা বিভিন্ন ধরনের কৌশল ব্যবহার করে থাকেন। স্বচ্ছতা লাভ করতে, নতুন সুযোগ খুঁজে পেতে, ঝুঁকি কমাতে এবং আরও নানা কারণে এই সব কৌশল ব্যবহার হয়ে থাকে। দৈনিক ট্রেডারদের জন্য কিছু প্রাথমিক কৌশল সহায়ক হিসেবে প্রমাণিত হয়। এর মধ্যে রয়েছে স্ক্যাল্পিং, মোমেন্টাম এবং কন্ট্রারিয়ান ট্রেডিং।

ট্রেডে একটা ছোট মুনাফা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তা বন্ধ করার ক্ষেত্রে জড়িত থাকে স্ক্যাল্পিং। মোমেন্টামের অর্থ হল তা প্রাইস ট্রেন্ডের বৃদ্ধি উপর কাজ করে। কোথাও কোনও তথ্য ফাঁস হলে কিংবা ব্রেকিং নিউজ এলেই এটা ঘটে থাকে। কন্ট্রারিয়ান কৌশল ব্যবহার করেন ডে ট্রেডাররা। যাঁরা মূল্যের অভিমুখে একটি আসন্ন বিপরীতমুখী লক্ষণের উপর ভিত্তি করে ব্যবসা করে থাকেন।

এই কয়েকটি সংস্থানই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ব্যবহার করে থাকেন ডে ট্রেডাররা। তবে স্টক মার্কেটে ডিল করার ক্ষেত্রে সেরা এবং সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সংস্থান হল নিজের সময়। মুনাফা করতে এবং ক্ষতির সম্ভাবনা কমানোর জন্য বুদ্ধি করে নিজের সময়কে কাজে লাগাতে হবে।

ট্রেডিংয়ের এই সফরে সাহায্য করার জন্য রয়েছে একটা গাইড। যা ট্রেডারদের সঠিক পথে রাখতে সাহায্য করবে। 5paisa হল একটি অনলাইন ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম, যা সাহায্য করে অভিজ্ঞ এবং নতুন ট্রেডারদের। শুধু তা-ই নয়, এই প্ল্যাটফর্ম ট্রেডিংয়ে আগ্রহী ব্যক্তিদের নানা সংস্থানমূলক অন্তর্দৃষ্টি এবং প্রশিক্ষণের সুযোগ-সুবিধাও শেয়ার করে থাকে। আরও তথ্যের জন্য এক বার ঘুরে আসা যেতেই পারে 5paisa.com।