কমোডিটি ট্রেডিং কী? কাদের এখানে টাকা খাটানো উচিত? - IIFL



কমোডিটি ট্রেডিং কী? কাদের এখানে টাকা খাটানো উচিত?

ছয়টি প্রধান এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে ভারতীয় কমোডিটি ট্রেড করা যেতে পারে: ন্যাশনাল মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জ ইন্ডিয়া, ন্যাশনাল কমোডিটি অ্যান্ড ডেরিভেটিভ এক্সচেঞ্জ, মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জ অফ ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ান কমোডিটি এক্সচেঞ্জ, ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ এবং বিএসই।

Written by Web Desk Team | Published :January 4, 2023 , 11:26 am IST

কমোডিটি ট্রেডিংয়ে কাঁচামাল বা প্রাথমিক পণ্যের উপর ফোকাস করা হয় যার অন্তর্নিহিত মূল্য রয়েছে এবং পরিমার্জিত পণ্যের উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। কমোডিটি ক্যাটাগরির মধ্যে রয়েছে, মূল্যবান ধাতু, কৃষি পণ্য, খনিজ আকরিক এবং জীবাশ্ম জ্বালানি। বাণিজ্যের যোগ্য হওয়ার জন্য, পণ্যটিকে একই ধরনের অন্য পণ্যের সঙ্গে মানসম্মত হতে হবে।

যদিও পণ্যের গুণমান পরিবর্তিত হতে পারে। কিন্তু তাদের অবশ্যই বিভিন্ন উৎপাদক জুড়ে নির্দিষ্ট মানদণ্ড পূরণ করতে হবে। শেয়ার বাজারে শেয়ার বাণিজ্যের মতোই পণ্যের বাজারে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করা হয়। এখানে ডেডিকেটেড কমোডিটি এক্সচেঞ্জ রয়েছে। এর মাধ্যমে সহজে অনলাইনে পণ্য কেনাবেচা করা যায়। এই পণ্যগুলিকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে – কৃষি ও অকৃষি।

অকৃষি পণ্যগুলিকে ট্রেডিংয়ের জন্য আরও উপ-শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে: বুলিয়ন, শক্তি এবং ধাতু। চাহিদা এবং যোগানের উপর ভিত্তি করেই কমোডিটি বাজারে ট্রেড হয়।

বিভিন্ন কারণে পণ্যের দাম ওঠানামা করে। যেমন দেশের কোনও অংশে খরা বা অনুরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে কৃষিপণ্যের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দাম বেড়ে যায়। একই ভাবে দেশের ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে পণ্য সরবরাহ প্রভাবিত হয়। তার প্রভাব পড়ে দামে।

কমোডিটি ট্রেডে দাম মুদ্রার ওঠানামা, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং অন্যান্য অনুরূপ কারণগুলির দ্বারা প্রভাবিত হয়। এটা বিনিয়োগকারীর পোর্টফোলিওতে বৈচিত্র এনে দেয় কারণ বাজারের দাম ঐতিহ্যগত সিকিউরিটিজ বাণিজ্যের প্রবণতার বিপরীতে ব্যবহার করা যেতে পারে। অস্থিরতার সময় বিনিয়োগকারীদের ঢাল হয়ে দাঁড়ায়।

ছয়টি প্রধান এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে ভারতীয় কমোডিটি ট্রেড করা যেতে পারে: ন্যাশনাল মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জ ইন্ডিয়া, ন্যাশনাল কমোডিটি অ্যান্ড ডেরিভেটিভ এক্সচেঞ্জ, মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জ অফ ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ান কমোডিটি এক্সচেঞ্জ, ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ এবং বিএসই।

কমোডিটি ট্রেডিং শুরু করতে ডিম্যাট, ট্রেডিং এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের প্রয়োজন। এতে উচ্চ লিভারেজ পাওয়া যায়। কোনও পণ্য কেনার জন্য ব্যবসায়ীকে এক্সচেঞ্জ নির্ধারিত মার্জিন পার্সেন্টেজ দিতে হয়। যেমন, ধরা যাক সোনা ভবিষ্যতে ৫০,০০০ টাকায় লেনদেন হবে, বিনিয়োগকারী সেটা কিনতে চান এবং এমসিএক্সে মার্জিন ৩.৫ শতাংশে সেট করা হল। এখন যদি সোনার দাম ১০০০ টাকা বেড়ে যায় তাহলে এই পরিমাণ ট্রেডিং অ্যাকাউন্টের সঙ্গে লিঙ্ক করা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা হবে। আর যদি দাম কমে যায় তাহলে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে সেই টাকা কেটে নেওয়া হবে। উচ্চতর লিভারেজ পণ্য বাণিজ্যে জড়িত একটি বৃহত্তর ঝুঁকিও। এটা প্রশ্ন তোলে কাদের কমোডিটি ট্রেডিংয়ে নামা উচিত।

যেহেতু পণ্যের দাম প্রথাগত সিকিউরিটিজের চেয়ে বেশি অস্থির হতে পারে, তাই বাজার তাঁদের জন্য বেশি উপযোগী যাঁদের ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। কমোডিটি ট্রেডে মনোযোগ দেওয়ার আরেকটি বিষয় হল, সিকিউরিটিজ বাণিজ্যের বিপরীতে, পণ্য বিনিয়োগ শুধুমাত্র মূলধন লাভ করতে পারে।

সুতরাং কমোডিটি ট্রেডিংয়ে নামতে চাইলে দীর্ঘমেয়াদি অবস্থান গ্রহণ এবং ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা থাকতে হবে। সঙ্গে অন্যান্য ট্রেডিং বা ব্যবসায়িক কার্যকলাপের প্রাথমিক নিয়মের মতো, বাজারের কার্যকারিতা এবং গতিশীলতার উপর গবেষণা করা প্রয়োজন।