নাইট কাটিয়ে প্লেঅফে সানদের সূর্যোদয়, রঙ হারাল মাছরাঙারা
অবশেষে সানের প্লেঅফে সূর্যোদয় হল। পয়েন্ট তালিকায় প্লেঅফ থেকে একধাপ নিচে থাকায় একটা টান টান স্নায়ু যুদ্ধ চলছিল লক্ষ্মন-কৃষ্ণের ড্রেসিংরুমে। কোহলিদের বিরাট জয় আরও বারুদ যোগানের কাজ করে দেয়। তারপর একটাই পথ খোলা।
কলকাতা- ১৩০/৭ (২০)
সানরাইজার্স- ১৩২/৫ (১৮.৫)
সারনারইজার্স ৫ উইকেটে জয়ী
ম্যাচের সেরা পার্থিব প্যাটেল
অবশেষে সানের প্লেঅফে সূর্যোদয় হল। পয়েন্ট তালিকায় প্লেঅফ থেকে একধাপ নিচে থাকায় একটা টান টান স্নায়ু যুদ্ধ চলছিল লক্ষ্মন-কৃষ্ণের ড্রেসিংরুমে। কোহলিদের বিরাট জয় আরও বারুদ যোগানের কাজ করে দেয়। তারপর একটাই পথ খোলা। কয়েকশো হাজার গুন বারুদ নিয়ে মাঠে স্বমহিমায় বিস্ফোরক সূর্য হয়ে জ্বলে ওঠা। গতকাল ঘরের মাঠে হয়দরাবাদকে সেটাই করতে দেখা গেল। প্রথম থেকেই আক্রমণাত্বক হয়ে উঠেছিল স্টেইনরা। টি-টোয়েন্টি ফরমাটে ব্যাটসম্যানের আধিপত্য বেশি থাকে। কিন্তু গতকাল দুপক্ষের বোলাররা বেশ ভাল বল করেগেছে। স্টেইন যখন ১৪৭ উপর গতিবেগে বল করছিল মনে হচ্ছিল, যেন ডারবানের উইকেটে নাইট ব্যাটসম্যানরা চোখে অন্ধকার দেখছে। একমাত্র ইউসুফ পাঠান বুক চিতিয়ে লড়ে গেলেন। স্টেইন যখন বুকের উপর বাউন্স তুলে গতির স্পর্ধা জাহির করছিল, পাঠানও তাঁর একটি বুকের উচ্চতার বলকে লং অফের উপর দিয়ে মাঠের বাইরে ফেলে নিজেই হাততালি দিয়ে নিজেকে অভিবাদন জানায়। এটাই আইপিএল। হারা জেতা পরে। কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়তে রাজি নয়। তাই যখন তখন মুখের উপর জবাব দিলেই মাঠের মধ্যে দেখা যায় রাজকীয় কায়দায় গেইল, পোলার্ড, ব্রাভো কিংবা স্যামির গ্যাংনাম নৃত্য।
আইপিএলের লিগের অধ্যায় শেষ। সূর্য ওঠার পরই গেইলরা তলপি-তলপা নিয়ে বিদায় নিল। গতবারের বিজয়ী নাইটরা ৭নম্বর অন্ধকার গলিতে ঠাঁই নেয়। আর দিল্লি মাত্র তিনটি ম্যাচ জিতে সবার নিচে এবারের মতো জীবাশ্ম হয়ে ঘুমিয়ে রইল।