২১ জুলাই গুলি চালানোর পিছনে চক্রান্ত ছিল, বিচারবিভাগীয় কমিশনের রিপোর্টে তেমনই ইঙ্গিত

Updated By: Jul 21, 2017, 11:41 PM IST
২১ জুলাই গুলি চালানোর পিছনে চক্রান্ত ছিল, বিচারবিভাগীয় কমিশনের রিপোর্টে তেমনই ইঙ্গিত

ওয়েব ডেস্ক: ১৯৯৩-এর ২১ জুলাই গুলি চালানোর পিছনে চক্রান্ত ছিল। বিচারবিভাগীয় কমিশনের রিপোর্টে তেমনই ইঙ্গিত। ২১ শের মঞ্চ থেকে ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর হুঁশিয়ারি, ছাড় পাবে না চক্রান্তকারীরা। তবে, রাজনৈতিক সৌজন্যের খাতিরে জ্যোতিবাবু-বুদ্ধবাবুকে ছোঁবেন না বলে জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

ইস্যু- নো কার্ড নো ভোট। যুব কংগ্রেসের ডাকে মহাকরণ অভিযান। নেতৃত্বে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেয়ো রোডের কাছে গোলমাল। আচমকা পুলিসের গুলি। ১৩ জন যুব কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যু।

সেদিন চক্রান্ত করেই গুলি চালায় পুলিস। ২১ শে জুলাই কমিশনের রিপোর্টে তেমনই উল্লেখ করা হয়েছে। ২১শের মঞ্চ থেকে সরকারিভাবে সেকথা ঘোষণা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তৃণমূল সুপ্রিমোর হঁশিয়ারি, পার পাবেন না চক্রান্তকারীরা।

সেসময় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন জ্যোতি বসু। পুলিস মন্ত্রীর দায়িত্বে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তবে, রাজনৈতিক সৌজন্যের খাতিরে তাদের ছোঁবেন না বলে জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

সেদিন পুলিসের গুলিতে মৃত ১৩ জনের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সুপারিশ করেছে বিচারবিভাগীয় কমিশন। তা মেনেই শহিদ পরিবারপিছু ২লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

২১ জুলাইয়ের তদন্ত শেষ। ইতিমধ্যেই নন্দীগ্রামে নিখোঁজদের খুঁজে বার করে CID  তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। সাঁইবাড়ি নিয়ে তদন্ত কমিশনের রিপোর্টও শিগগিরি জমা পড়বে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। (আরও পড়ুন- ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে BJP-কে একটি আসনও দেব না : মমতা)

.