নারী পাচারের চক্রভেদ ২৪ ঘণ্টার, ধৃতদের ৩ দিনের পুলিস হেফাজত
নারী পাচারকাণ্ডে এখনও অধরা মূল চক্রী বাপি সাহা। খোঁজ নেই অপর দুই অভিযুক্ত শিবা এবং সোমিয়ার। চব্বিশ ঘণ্টার খবরের জেরে ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছে রেল পুলিসের এএসআই ধর্মেন্দ্র সিং সহ চার জন।
নারী পাচারকাণ্ডে এখনও অধরা মূল চক্রী বাপি সাহা। খোঁজ নেই অপর দুই অভিযুক্ত শিবা এবং সোমিয়ার। চব্বিশ ঘণ্টার খবরের জেরে ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছে রেল পুলিসের এএসআই ধর্মেন্দ্র সিং সহ চার জন।
ধৃত দুই কনস্টেবল বিশ্বজিত্ দাস, আলতাফ হোসেন এবং সাফাইকর্মী সইদুল মোল্লাকে আজ শিয়ালদা আদালতে পেশ করা হয়। তাদের তিনদিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। ধৃতদের বিরুদ্ধে ৩৬৬, ৩৭০, ৩৮৪ এবং ১২০ বি ধারায় অপহরণ, তরুণীকে বিক্রি এবং মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে। ঘটনার তদন্তে ছত্তিসগড়ের রায়পুরে একটি দল রওনা হয়েছে বলে জিআরপি সূত্রে খবর। মূল চক্রী বাপি সাহার নির্দেশে শিবা এক লক্ষ টাকার বিনিময়ে সোমিয়া নামে রায়পুরের বাসিন্দা এক মহিলার কাছে ওই তরুণীকে বিক্রি করেছিল বলে জেরায় জানিয়েছে ধৃতেরা।
রক্ষকই যে ভক্ষক, শিয়ালদার ঘটনা তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। জিআরপির কর্মীরাই জড়িয়ে গেছে নারীপাচার থেকে অপহরণ ও মুক্তিপণের ঘটনায়। শেষে চব্বিশ ঘণ্টার খবরের জেরে গ্রেফতার হয়েছে এএসআই ধর্মেন্দ্র সিং এবং ৩ কনস্টেবল। ভেঙে দেওয়া হয়েছে ধর্মেন্দ্র সিং-এর নেতৃত্বেই তৈরি হওয়া এসওজি। বাধ্য হয়ে সাসপেন্ড করা হয়েছে দুই কনস্টেবলকে। অথচ এখন ঘটনার দায় পুরোপুরি অস্বীকার করছেন রেলপুলিসের কর্তারা।
গড়িয়া স্টেশন থেকে অজয়নগর। তারপর শিয়ালদা। রাতভর রেল পুলিসের স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপের ঘরে আটকে রাখা হয় মহিলার স্বামীকে। অথচ স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপের ওসির দাবি, ঘটনার কথা কিছুই জানতেন না তিনি। ঘটনা জানাজানির পর এখন রেলপুলিসের সব বড়কর্তারাই গা বাঁচাচ্ছেন। তড়িঘড়ি দুই কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করে এবং পুরো এসওজি বা স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপ ভেঙে দিয়ে দায় এড়াতে চাইছেন তাঁরা। প্রত্যেকেরই দাবি, তাঁরা ঘটনার কথা কিছুই জানতেন না। কিন্তু রাতভর এসওজির ঘরে যেভাবে একজনকে আটকে রাখা হল এবং মুক্তিপণের জন্য মহিলাকে তাগাদ দেওয়া হল, তাতে কর্তাদের এই দাবি কতটা যুক্তিসঙ্গত তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রশ্ন উঠছে, রেলপুলিসের কর্তারা যদি ঘটনার কথা না জানতেন তাহলে কি এতটা বেপরোয়া মনোভাব দেখাতে পারত অপরাধীরা?