পুলিসের জালে বেহালাকাণ্ডের ৪ অপরাধী

অবশেষে কিনারা করা গেল নাটকীয় বেহালা হত্যাকান্ডের। মূল অভিযুক্ত সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মুন্না ঢালি। মুন্না দীপক বাবুর কেবল অফিসের কর্মী ছিল বলে জানা গিয়েছে। ডাকাতির উদ্দেশ্যেই সে তার তিন সঙ্গীকে নিয়ে দীপকবাবুর বাড়িতে হানা দেয় বলে পুলিসের অনুমান।

Updated By: Sep 9, 2012, 10:22 AM IST

অবশেষে কিনারা করা গেল নাটকীয় বেহালা হত্যাকান্ডের। মূল অভিযুক্ত সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মুন্না ঢালি। মুন্না দীপক বাবুর কেবল অফিসের কর্মী ছিল বলে জানা গিয়েছে। ডাকাতির উদ্দেশ্যেই সে তার তিন সঙ্গীকে নিয়ে দীপকবাবুর বাড়িতে হানা দেয় বলে পুলিসের অনুমান।
আমতলা থেকে অভিযুক্ত মুন্নাকে গ্রেরফতার করা হয়। সাত্তার ও বিজয় নামের আরও দুই অভিযুক্তকে কবরডাঙা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, দুপুর আড়াইটে-তিনটে নাগাদ ওই বাড়িতে ঢোকে ৪ দুষ্কৃতী। দীপকবাবুর ব্যবসার সঙ্গে পরিচিত থাকায় মুন্নার ধারণা হয়েছিল বাড়িতে ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা রাখা আছে। সেই টাকার লোভেই বাড়িতে হানা দেয় তারা। চেনা মুখ দেখে পরিচারিকা বাড়ির দরজা খুলে দিয়েছিলেন। বাড়ির ভিতরে ঢুকেই মুন্না ও তার সঙ্গীরা প্রথমে দোতলায় চলে যায়। দোতলায় আলমারি হাতড়ে টাকা বের করার চেষ্টা করে। তখনই দীপক ভট্টাচার্যের সঙ্গে তাদের বচসা ও হাতাহাতি বাধে। তারপরই খুনের ঘটনা ঘটে। একের পর এক খুন দেখে আততায়ীদের মধ্যে একজন অসুস্থ হয়ে পড়ে। সেই দেখে বাকিরাও ঘাবড়ে যায়। এরপরই সেখান থেকে চম্পট দেয় তারা। পুলিস ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃত নব, বিজয় এবং সাত্তারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের অভিযোগের খবর রয়েছে।  
বেহালায় চারজনের খুনের ঘটনার পিছনে আততায়ীদের কী উদ্দেশ্য ছিল, সেই সম্পর্কে আগেই কিছু তথ্য পেয়েছিল পুলিস। আর সেই সূত্র ধরেই ফের ওই বাড়িতে এবং আশপাশে বারবার তল্লাসি চালায় গোয়েন্দারা। বাড়ি থেকে একটি রক্তমাখা চটি উদ্ধার করে পুলিস। যে ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল, সেই বস্তুটি সম্পর্কেও আরও তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এবং গোয়েন্দাদের পাওয়া তথ্যের বিশ্লেষণ করেও এই খুনের ঘটনায় কিছু সূত্র পেয়েছে পুলিস। শনিবার প্রথম দফায় নিহত গৌরী ভট্টাচার্যর নাতনি এবং জামাইকে ডেকে কথা বলেন গোয়েন্দারা। ডাকা হয়েছিল নিহত দীপক ভট্টাচার্যর কেবল ব্যবসার অংশীদার দুজনকেও। দীর্ঘদিন ধরেই দীপকবাবুর সঙ্গে একজন অংশীদার ছিল। নতুন আরও একজন এই ব্যবসা দেখার দায়িত্ব নিয়েছিলেন।

.