বিজেপির যুব মোর্চায় তৃণমূলের ৪ প্রাক্তনী, বিদ্যুত মাশুল নিয়ে আন্দোলনের নির্দেশ
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে টার্গেট করেছে বিজেপি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিধানসভা ভোটের আগে নিজেদের যুব সংগঠন আরও পোক্ত করার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য বিজেপি। যুব মোর্চায় ঢোকানো হল সৌমিত্র খাঁ, শুভ্রাংশু রায়, অর্জুন সিংয়ের ছেলে পবন ও শঙ্কুদেব পণ্ডাকে। সকলেই দলবদল করে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। সিইএসসি-র বিদ্যুতের চড়া মাশুলের প্রতিবাদে আন্দোলনে নামার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যুব মোর্চাকে। সে কারণে বাড়ানো হল দলের যুব সংগঠনের শক্তি।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে টার্গেট করেছে বিজেপি। রাজ্যে গেরুয়া শিবিরের এমন দাপাদাপির নেপথ্যে রয়েছে যুবশক্তি। যুব সমাজ দু'হাত তুলে নরেন্দ্র মোদীকে ভোট দিয়েছে বলে মনে করছে বিজেপি নেতৃত্ব। আর সে কারণে দলের যুব সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে চাইছেন দিলীপ ঘোষরা। আর সে জন্য বিজেপির ভরসা অভিজ্ঞ মুখ। যুব মোর্চায় ঢোকানো হল বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, ভাটপাড়ার বিধায়ক তথা অর্জুন সিংয়ের ছেলে পবন, মুকুল রায়ের ছেলে শুভ্রাংশু ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি শঙ্কুদেব পণ্ডা। পবন সিং ছাড়া বাকিরা সকলেই সংগঠনে অভিজ্ঞমুখ।
লোকসভা ভোটে সাফল্যের পর গতিবিধি বেড়েছে সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন এবিভিপি-র। ছাত্র আন্দোলনের হাওয়া জোরদার করতে কলেজ-ক্যাম্পাসে এবিভিপি-কে সহযোগিতার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যুব মোর্চাকে। ফলে ছাত্রদের সঙ্গে দেখা যাবে দলের যুব নেতাদের।
এর পাশাপাশি শহরাঞ্চলের ভোট টানতে লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফার আগে সিইএসসি-র বিরুদ্ধে অতিরিক্ত বিদ্যুতের মাশুল নেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন মুকুল রায়। তালিকা প্রকাশ করে দেখিয়েছিলেন, গোটা দেশের মধ্যে এরাজ্যেই বিদ্যুতমাশুল সর্বোচ্চ। সেটাই এবার পরের ধাপে নিয়ে যেতে চাইছে গেরুয়া শিবির। রাজ্য ও সিইএসসি-র বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলনে নামতে চলেছে যুব মোর্চা। বিদ্যুত মাশুলের সঙ্গে শহুরে মানুষের জীবন জড়িয়ে। ফলে তাঁদের সমর্থন মিলবে বলে বিশ্বাস গেরুয়া শিবিরের। লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গ ও জঙ্গলমহলে পদ্ম ফুটলেও দক্ষিণবঙ্গের কলকাতা ও লাগোয়া জেলাগুলিতে গড় ধরে রেখেছে তৃণমূল। সেই গড়েই এবার ভাঙন ধরাতে চাইছেন দিলীপ-মুকুলরা। আর হাতিয়ার হতে চলেছে বিদ্যুতের মাশুল।
আরও পড়ুন- ওনার সঙ্গে সাক্ষাৎ সৌভাগ্যের ও প্রেরণাদায়ী, বু্দ্ধদেবের বাড়িতে গিয়ে বললেন রাজ্যপাল