ওনার সঙ্গে সাক্ষাৎ সৌভাগ্যের ও প্রেরণাদায়ী, বু্দ্ধদেবের বাড়িতে গিয়ে বললেন রাজ্যপাল

নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে দেখতে তাঁর বাড়িতে গেলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। বেরিয়ে বললেন, 'নিখাদ সৌজন্য সাক্ষাৎ। রাজনৈতিক কোনও কথা হয়নি। ওনার দ্রুত সুস্থতার কামনা করি।'       

দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বালিগঞ্জের পাম অ্যাভিনিউয়ে কার্যত গৃহবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তবে শরীর আগের চেয়ে ভালো বলে খবর। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে এদিন পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে যান সস্ত্রীক রাজ্যপাল। তবে এটাই প্রথম নয়, এর আগেও বুদ্ধবাবুর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাত হয়েছেন। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মেয়ের উদ্যোগেই সময় মিলেছে বলেছে বলে জানান জগদীপ ধনকর। বলেন, 'রাজনৈতিক কোনও আলোচনা হয়, এটা নেহাই সৌজন্য সাক্ষাৎ।'

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে কথা বলার সস্ত্রীক রাজ্যপালকে বাইরে ছাড়তে আসেন বুদ্ধদেববাবুর স্ত্রী মীরা দেবী। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বেশ খুশি ধনকর। হাতজোড় করে বলেন, 'ওনাকে খুব সম্মান করি। দীর্ঘদিন ধরে চিনি। স্বাস্থ্য। দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। আমি ধন্য উনি সময় দিয়েছেন। ওনার সঙ্গে সাক্ষাৎ সৌভাগ্যের ব্যাপার ও অনুপ্রেরণাদায়ী।' 

লোকসভা ভোটের আগে থেকে অসুস্থ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ফেব্রুয়ারিতে বামেদের ব্রিগেডে এসেছিলেন তবে গাড়ির বাইরে বেরোননি। অশক্ত শরীরের অক্সিজেন ব্যবস্থা নিয়েই এসেছিলেন বুদ্ধবাবু। তাঁর শারীরিক অবস্থার অনেকটাই উন্নতি হয়েছে বলে খবর। তরল খাবার খাওয়ানো হচ্ছিল তাঁকে। এখন বাড়ির রান্না খেতে পারছেন। সামান‍্যই আহার করছেন। নিজে শৌচালয়েও যেতে পারছেন। ডাক্তারের পরামর্শে সপ্তাহ তিনেক আগে শনিবার বাড়ির বাইরে বেরিয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। গিয়েছিলেন বাবুঘাটে। তবে গাড়িতেই ছিলেন বুদ্ধবাবু। ঘনিষ্ঠদের কাছে বই লেখার ইচ্ছার কথাও প্রকাশ করেছেন। আগের বইটি প্রকাশের ক্ষেত্রে দলের এক কর্মীকে মুখে বলেছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।