Health Commission: লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম খুলতেই রোগীর মৃত্যু! নামী হাসপাতালকে জরিমানা স্বাস্থ্য কমিশনের
শুনানিতে অপমানজনক মন্তব্যের জন্য পরিবারের কাছে নিঃশর্তে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল হাসপাতালের সিইও অথবা ইউনিট হেডকে।
মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: অমানবিক আচরণ! রোগীর মৃত্যুতে শহরের একটি নামাজাদা হাসপাতালকে জরিমানা করল স্বাস্থ্য কমিশন। কত টাকা? ৫০ হাজার। শুধু তাই নয়, শুনানিতে অপমানজনক মন্তব্যের জন্য পরিবারের কাছে নিঃশর্তে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল হাসপাতালের সিইও অথবা ইউনিট হেডকে।
আরও পড়ুন: Dengue: ডেঙ্গি আক্রান্তকে কখন দিতে হবে প্লেটলেট? গাইডলাইন জারি স্বাস্থ্যভবনের
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ কলকাতার বেহালার বাসিন্দা অমর কুমার দে। স্ত্রীকে ভর্তি করেছিলেন শহরের একটি নামী হাসপাতালে। কিন্তু শারীরিক অবস্থা এতটাই সংকটজনক ছিল যে, চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছিলেন না তিনি! শেষপর্যন্ত রোগীকে ভেন্টিলেশনে রাখার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। সেই প্রস্তাবে অবশ্য রাজি হননি পরিবারের লোকেরা।
স্ত্রীকে বাড়িতে এনে হোম কেয়ারে রাখার সিদ্ধান্ত নেন অমর। হাসপাতাল থেকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে বাড়িতে আনা হয় ওই মহিলাকে। তাহলে? অভিযোগ, বাড়িতে পৌঁছনোর পরেই রোগীর লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম খুলে নিতে চান অ্যাম্বুল্যান্সের চালক। তাতে আপত্তি করেননি অ্যাম্বুল্যান্সে থাকা চিকিৎসক! কিন্তু সাপোর্ট সরিয়ে নেওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যে বাড়িতেই মৃত্যু হয় ওই মহিলার।
কীভাবে? অমর কুমার দে-র অভিযোগ, হাসপাতাল থেকে তাঁর স্ত্রীর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে অনেক তথ্যই দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাড়িতে পৌঁছনোর পরেই যে অ্যাম্বুল্যান্সের লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম খুলে নেওয়া হবে এবং সেই সাপোর্ট তুলে নিলেই যে স্ত্রীর মৃত্যু হবে, সেকথা জানানো হয়নি। এমনকী, বাড়িতে বিকল্প ব্যবস্থা করার জন্য ন্যূনতম সময় নাকি দেওয়া হয়নি! হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য কমিশনের অভিযোগ জানান মৃতের স্বামী।
এদিকে শুনানির সময়ে অভিযোগকারী বক্তব্যকে 'মিসলিডিং সাবমিশন' বলে দাবি করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। স্বাস্থ্য কমিশনের মতে,'মিসলিডিং' শব্দটি অত্যন্ত অপমানজনক। সেকারণেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নিঃশর্তে ক্ষমার চাওয়ার নির্দেশ।
আরও পড়ুন: Partha Chatterjee: 'ভারতের আর একটা দল দেখাও যাঁদের লোক গ্রেফতার হয়ে আছে আর তারা কিছু বলছে না'!