রাজ্যের সাতটি আসনে প্রার্থী দিচ্ছে কেজরিওয়ালের দল, মমতাকেও লড়তে হবে ঝাঁটার বিরুদ্ধে
রাজ্যের সাতটি লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী দিতে চলেছে আম আদমি পার্টি। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে উত্তর কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতা, হাওড়া, যাদবপুর, বহরমপুর, শ্রীরামপুর,বীরভূম এই সাতটি কেন্দ্রে প্রার্থী দেবে কেজরিওয়ালের দল। অন লাইনেও মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন ইচ্ছুক ব্যক্তিরা।
রাজ্যের সাতটি লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী দিতে চলেছে আম আদমি পার্টি। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে উত্তর কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতা, হাওড়া, যাদবপুর, বহরমপুর, শ্রীরামপুর,বীরভূম এই সাতটি কেন্দ্রে প্রার্থী দেবে কেজরিওয়ালের দল। অন লাইনেও মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন ইচ্ছুক ব্যক্তিরা।
আপাতত সাতটি আসনের কথা ভাবা হলেও কোনও কেন্দ্রে বিরোধী দলের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা, দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে সেখানেও প্রার্থী দিতে পারে আপ। গোটা দেশের সঙ্গে কলকাতাতেও ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি ঝাড়ু চালাও বেইমান ভাগাও যাত্রার ডাক দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, কেন্দ্রের সঙ্গে সম্মুখসমরে কেজরিওয়াল সরকার। এবার ইস্যু জন লোকপাল এবং স্বরাজ বিল পাস। কেন্দ্রের অনুমতি না নিয়ে, বিধানসভার বাইরে একটি স্টেডিয়ামে অধিবেশন ডেকে বিল পাস করাতে অনড় অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
ক্ষমতায় এসে দুমাসও হয়নি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের। এরই মধ্যে একের পর এক সংঘাত। কখনও দিল্লি পুলিসের সঙ্গে, কখনও লেফটেনেন্ট গভর্নরের সঙ্গে। সবচেয়ে বেশিবার কেন্দ্রের সঙ্গে। এবারও সম্মুখসমরে এই দুপক্ষ। নিয়মের তোয়াক্কা না করেই জন লোকপাল এবং স্বরাজ বিল পাস করাতে উদ্যোগী কেজরিওয়াল সরকার।
বিল পেসের আগে নেওয়া হচ্ছে না কেন্দ্রের অনুমতি। দিল্লি বিধানসভার বদলে ইন্দিরা গান্ধী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বিশেষ অধিবেশন ডেকে বিল পাস করাতে চায় দিল্লি সরকার। কেজরিওয়ালের দাবি, জনতার রায় নিয়ে পাস করানো হবে বিল। তাই এই ব্যবস্থা।
দেশের সলিসিটর জেনারেল একে অসাংবিধানিক বললেও সিদ্ধান্তে অনড় অরবিন্দ কেজরিওয়াল। উল্টে তাঁর হুমকি, কথামতো কাজ না হলে তিনি পদত্যাগ করবেন।
কংগ্রেস জানিয়েছে, বিলকে সমর্থন করলেও যে পথে বিল পাস করাতে চাইছেন কেজরিওয়াল, তা সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক। তাই সমর্থনের প্রশ্ন নেই। একসময়ের সঙ্গীরাও এখন বিরোধিতায় সরব। কেজরিওয়ালের সিদ্ধান্ত হঠকারী। অন্যায় জেদ। শুধু কংগ্রেস না, এই অভিযোগ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ।
বিরোধিতা সত্ত্বেও পিছু হঠতে নারাজ কেজরিওয়াল। বরং এককথায় রাজি মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি ছেড়ে দিতে। বিরোধিদের অভিযোগ, ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রায় প্রত্যেক ইস্যুতে কেন্দ্রের সঙ্গে বিরোধিতায় জড়াচ্ছে দিল্লি সরকার।কাজে মন দেওয়ার বদলে গায়ে পড়ে ঝগড়ার পিছনে কি তাহলে কাজ করছে অন্য কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য?