অভিষেক মুখার্জি সহ তিন সন্দেহভাজন মাওবাদী নেতার জামিন হল হাইকোর্টে
অভিষেক মুখার্জি-সহ তিন সন্দেহভাজন মাওবাদী নেতাকে জামিন দিল কলকাতা হাই কোর্ট। ২০১২ সালে টালা এলাকা থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র অভিষেক মুখার্জিকে গ্রেফতার করে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। গ্রেফতার করা হয় সুনীল মণ্ডল ও সুভাষ রায়কেও। দুবছর পর ব্যক্তিগত বন্ডে সোমবার তাদের জামিন মঞ্জুর করল হাই কোর্ট। সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম আন্দোলনে সক্রিয় অংশ নেওয়া অভিষেক মুখার্জি জঙ্গলমহলে পরিচিত ছিলেন অরণ্য নামে । মাওবাদী সন্দেহে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক বিভাগের ওই প্রাক্তন ছাত্র সহ আরও দুজনকে ২০১২ সালে টালা এলাকার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে অস্ত্র সহ গ্রেফতার করে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। ধৃতদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ সহ রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগ, কিষানজির মৃত্যুর পর রাজ্যে মাওবাদী সংগঠন গড়ায় গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা নিয়েছিলেন অভিষেক।
অভিষেক মুখার্জি-সহ তিন সন্দেহভাজন মাওবাদী নেতাকে জামিন দিল কলকাতা হাই কোর্ট। ২০১২ সালে টালা এলাকা থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র অভিষেক মুখার্জিকে গ্রেফতার করে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। গ্রেফতার করা হয় সুনীল মণ্ডল ও সুভাষ রায়কেও। দুবছর পর ব্যক্তিগত বন্ডে সোমবার তাদের জামিন মঞ্জুর করল হাই কোর্ট। সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম আন্দোলনে সক্রিয় অংশ নেওয়া অভিষেক মুখার্জি জঙ্গলমহলে পরিচিত ছিলেন অরণ্য নামে । মাওবাদী সন্দেহে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক বিভাগের ওই প্রাক্তন ছাত্র সহ আরও দুজনকে ২০১২ সালে টালা এলাকার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে অস্ত্র সহ গ্রেফতার করে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। ধৃতদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ সহ রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগ, কিষানজির মৃত্যুর পর রাজ্যে মাওবাদী সংগঠন গড়ায় গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা নিয়েছিলেন অভিষেক।
কিন্তু কে এই অভিষেক? পুলিসি রিপোর্ট অনুযায়ী, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়েই অতি বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হন অভিষেক মুখার্জি। সিঙ্গুরে গাড়ি কারখানায় ভাঙচুর চালিয়ে গ্রেফতারও হন তিনি।
২০০৮সালে মাওবাদী আন্দোলনে যুক্ত হন। শহর কমিটির সদস্য থেকে একসময়। রাজ্য কমিটিরও সদস্য হন
অভিযোগ, লালগড় আন্দোলনে তাঁর বিশেষ ভূমিকা ছিল। কিষেণজির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন অভিষেক মুখার্জি।
১৩টি ভাষায় কথা বলতে পারা অভিষেক অতি দ্রুত মাওবাদী সংগঠনের শীর্ষস্তরে পৌছে যান।
কিন্তু ২০১২ সালে ধরা পড়ে যান।
মাওবাদী কার্যালাপের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে ধৃত দেবলীনা চক্রবর্তী, জয়িতা দাস,অভিজ্ঞান সরকার এবং সব্যসাচী গোস্বামীরা জামিন পেয়েছেন গত কয়েকমাসে। এবার জামিন পেলেন অভিষেক মুখার্জি-সহ তিন জন। ধৃতরা একের পর এক জামিন পাওয়ায় প্রমাদ গুণছে পুলিস। পুলিসের আশঙ্কা, ধৃতরা জামিন পাওয়ায় রাজ্যে ফের চাঙা হয়ে উঠতে পারে মাওবাদী সংগঠন।