Anupam Hazra On Debangshu Bhattacharya: এখানে আমার পছন্দ-অপছন্দটা গৌণ: দেবাংশু; "কথা না শুনলে চাকরি যাবে", খোঁচা অনুপমের
সপুত্র তৃণমূলে যোগ দেন মুকুল রায়। একে একে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সব্যসাচী দত্তরাও শাসক দলে ফিরেছেন। যে তালিকায় এখনও পর্যন্ত সর্বশেষ সংযোজন অর্জুন সিং (Arjun Singh)।
তনুজিৎ দাস: মুকুল রায়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সব্যসাচী দত্তর পর তৃণমূলে 'ঘর ওয়াপসি' হল অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh)। এই পরিস্থিতিতে 'দলছুট'দের তৃণমূলে ফেরা নিয়ে একদা সরব দেবাংশু (Debangshu Bhattacharya) গলাতেও অন্য সুর। যা নিয়ে পাল্টা তোপ দাগলেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা (Anupam Hazra)।
একুশের বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের (TMC) নিরঙ্কুশ জয়ের পর দেবাংশু ভট্টাচার্য (Debangshu Bhattacharya) বলেছিলেন, 'দলছুট'দের আর ফেরানো হবে না। 'গদ্দার'রা ফিরলে, প্রয়োজনে তৃণমূল ভবনের দরজা আগলে শুয়ে থাকবেন তিনি। কিন্তু এর কয়েক দিনের মধ্যেই অন্য ছবি দেখা যায়। সপুত্র তৃণমূলে যোগ দেন মুকুল রায়। একে একে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সব্যসাচী দত্তরাও শাসক দলে ফেরেন। যে তালিকায় এখনও পর্যন্ত সর্বশেষ সংযোজন অর্জুন সিং (Arjun Singh)। এবার কী বললেন যুব তৃণমূল নেতা দেবাংশু?
রবিবার Zee 24 Ghanta-কে ফোনে দেবাংশু বলেন, "বিজেপিকে বাংলায় ভেঙে টুকরো টুকরো করার জন্য, যেটুকু আগাছা রয়েছে তা শেষ করার জন্য, যা করতে হয় করব। দলের শৃঙ্খলাপরায়ণ কর্মী হিসেবে সকলের তা মানা উচিত। এখানে আমার পছন্দ-অপছন্দটা গৌণ।"
স্বভাবতই তৃণমূল নেতার এই 'সুর বদল'কে নিশানা করেছে বিজেপি। Zee 24 Ghanta-র তরফে যোগাযোগ করা হলে কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা (Anupam Hazra) বলেন, "তৃণমূলে একটাই পোস্ট। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেন, তাই সকলকে মেনে নিতে হয়। আজ অর্জুনবাবু ফিরলেন। একটা সময় যাঁর সঙ্গে মদন মিত্র, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকরা তুমুল ঝগড়া করতেন। আজ তাঁরাই বলছেন জড়িয়ে ধরব। ওখানে নিজের মতামত রাখার কোনও জায়গা নেই। এখন আর দুয়ারে শুয়ে থাকার জায়গা নেই। বরং দুয়ার খুলে দিতে হবে। প্রয়োজনে দরজা বড় করতে হবে। ওখানে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই। নেত্রীর কথা না শুনলে চাকরি চলে যাবে।" তৃণমূলে যোগ দিয়ে স্বভাবতই রাজ্য বিজেপিকে তোপ দেগেছেন অর্জুন সিং (Arjun Singh)। পাল্টা জবাব দিয়েছে গেরুয়া শিবিরও।