নবান্ন অভিযান, সফল ধর্মঘটের পর চাঙ্গা বাম শিবির, নয়া উদ্যোমে ব্রিগেডের পরিকল্পনা আলিমুদ্দিনের

নবান্ন অভিযান, সফল ধর্মঘটের পর চাঙ্গা বামশিবির। এবার ২৭ ডিসেম্বর ব্রিগেড সমাবেশ করার পথে সিপিএম।  কলকাতায় দলীয় প্লেনামের শুরুতেই ব্রিগেডের পরিকল্পনা করছে আলিমুদ্দিন। 

Updated By: Sep 3, 2015, 10:45 PM IST
নবান্ন অভিযান, সফল ধর্মঘটের পর চাঙ্গা বাম শিবির, নয়া উদ্যোমে ব্রিগেডের পরিকল্পনা আলিমুদ্দিনের

ব্যুরো:নবান্ন অভিযান, সফল ধর্মঘটের পর চাঙ্গা বামশিবির। এবার ২৭ ডিসেম্বর ব্রিগেড সমাবেশ করার পথে সিপিএম।  কলকাতায় দলীয় প্লেনামের শুরুতেই ব্রিগেডের পরিকল্পনা করছে আলিমুদ্দিন। 

এই মুহুর্তে সিপিএমের একার ডাকে ব্রিগেড সমাবেশ সম্ভব কিনা, তা নিয়ে দ্বিধা ছিল। তবে পরপর দুটি সফল কর্মসূচির পর সিপিএম নেতৃত্ব এখন অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী। 

চৌত্রিশ বছর ক্ষমতায় থাকার পর, বামেদের বিরোধিতায় আর সে ঝাঁঝ নেই। গত সাড়ে চার বছরে বারবার এই সমালোচনা উঠেছে বাম নেতাদের বিরুদ্ধে। সমালোচকরা বলেছেন, সারদা, টেট কেলেঙ্কারির মতো ইস্যুতেও সরকারকে নাস্তানুবুদ করতে পারেনি বিরোধিতা। কারণ, চৌত্রিশ বছরে ক্ষমতার জের। 

কিন্তু গত সাতাশে অগস্টের নবান্ন অভিযান বদলে দিয়েছে ধুঁকতে থাকা বাম শিবিরের চেহারা। সেদিনের জঙ্গি চেহারা চাঙ্গা করে দিয়েছে কর্মীদের। অনেকটাই চাঙ্গা আলিমুদ্দিন স্ট্রিটও। যার প্রতিফলন দোসরা সেপ্টেম্বরের বনধে। কর্মীদের ওপর ছেড়ে না দিয়ে বনধ সফল করতে রীতিমতো রাস্তায় নেমেছিলেন সূর্যকান্ত মিশ্র, বিমান বসু, শ্যামল চক্রবর্তীদের মতো নেতারা। সিপিএম শীর্ষ নেতৃত্ব বুঝতে পারছেন, দুহাজার ষোলোর নির্বাচন লড়তে হলে এখন থেকেই কোমর বেঁধে নামতে হবে। নইলে শাসক দলের সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলতে তুলতেই ভোট হাতের বাইরে চলে যাবে। তাই পর পর বড় কর্মসূচি ঘোষণার পথে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। তার প্রথম পদক্ষেপ ঝুঁকি নিয়ে একার ক্ষমতায় ব্রিগেড সমাবেশ। সাতাশে ডিসেম্বর, সেই সমাবেশ। 

সাতাশ থেকে তিরিশে ডিসেম্বর, কলকাতা বসছে সিপিএমের প্লেনাম। আর সেই প্লেনামের শুরুতেই ব্রিগেড চলোর ডাক দিতে চলেছেন বিমান-সূর্যকান্তরা। প্লেনামের শুরুতে ব্রিগেড সমাবেশ, নাকি অন্য কোনও ছোট জায়গায় সমাবেশ, এ নিয়ে চর্চা চলছিল সিপিএম সম্পাদকমণ্ডলীতে। কিন্তু নবান্ন অভিযান আর ধর্মঘটের পর কর্মীদের সঙ্গে চাঙ্গা নেতারাও। সিদ্ধান্ত তাই একপ্রকার পাকা, প্লেনামের সমাবেশ হবে ব্রিগেডেই। ছোট মাঠে নয়। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুহাজার ষোলোয় কোথায় কোন আসন পেতে পারে, সিপিএমের এখন সেই হিসেব নিকেশের সময় নয়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট লড়তে হলে, যে উজ্জীবিত কর্মীবাহিনী দরকার, তা তৈরির দিকেই নজর জরুরী।

.