TMC on Anubrata Arrest: গ্রেফতার হতেই দল থেকে বহিষ্কার পার্থ, অনুব্রতর বেলায় কী ব্যবস্থা, জবাব দিলেন চন্দ্রিমা
অসমে হেমন্ত বিশ্বশর্মার প্রসঙ্গ টেনে চন্দ্রিমা বলেন, হিমন্তের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে তদন্তও শুরু হয়েছিল। উনি যখন কেন্দ্রীয় শাসক দলের হয়ে গেলেন তখন তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত থেমে গেল। ঝাড়খণ্ডের অভিযুক্ত বিধায়করাও হিমন্ত বিশ্বশর্মার কথা বলেছেন
অর্ণবাংশু নিয়োগী: অনুব্রত মণ্ডল আটক হওয়ার পর সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছিলেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। এবার এনিয়ে সংবাদিক সম্মেলনে অনুব্রত নিয়ে দলের অবস্থান স্পষ্ট করল তৃণমূল কংগ্রেস। সাফ জানিয়ে দেওয়া হল, দুর্নীতির সঙ্গে নেই দল। বরং মানুষের সঙ্গে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ মানুষই দলের সবচেয়ে বড় সম্পদ। আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নিয়ে চলে দল। বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, যে কোনও অনৈতিক ও দুর্নীতিকে আমাদের দল প্রশ্রয় দেয় না। এটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মানুষের স্বার্থের পরিপন্থী কেউ কিছু করলে তাকে সমর্থন করেন না দল। এমনটাই সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দলনেত্রী। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে চলে তৃণমূল কংগ্রেস। আজও এই সাংবাদিক বৈঠকে একই কথা বলছি।
আরও পড়ুন-Anubrata Mandal Detained: মমতা এখন কোথায়; বিবৃতি দিন, অনুব্রতর আটকে সরব সুজন
অনুব্রত প্রসঙ্গর থেকেও কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাগুলির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, মানুষ আমাদের দলের সবচেয়ে বড় সম্পদ। অর্থনৈতিক সম্পদকে বা অন্য কোনও কিছু বড় করে দেখে না তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু কিছু প্রশ্ন উঠতেই পারে। আমরা কিন্তু একটা নিরপেক্ষ চেহারা আশা করি। যেসব সংস্থাগুলির নিরপেক্ষ হওয়া প্রয়োজন তারা নিরপেক্ষতা কেন হারাচ্ছে? কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন সংস্থাগুলি তাদের নিরপেক্ষ চেহারা হারিয়ে ফেলছে। এরা দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। সকলের সঙ্গে সমান ব্যবহার করুক তারা। কেন্দ্রীয় শাসক দলের বিরোধ কেউ হলেই তার বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লাগছে এইসব কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাগুলি। শাসক দলের কেউ হলে তা করা হচ্ছে না।
অসমে হেমন্ত বিশ্বশর্মার প্রসঙ্গ টেনে চন্দ্রিমা বলেন, হিমন্তের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে তদন্তও শুরু হয়েছিল। উনি যখন কেন্দ্রীয় শাসক দলের হয়ে গেলেন তখন তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত থেমে গেল। ঝাড়খণ্ডের অভিযুক্ত বিধায়করাও হিমন্ত বিশ্বশর্মার কথা বলেছেন। সেখানে ইডি, সিবিআই, আয়কর দফতর কেউ কোনও পদক্ষেপ করছে না। তার মানে বিজেপি শাসিত রাজ্যে হলে সেখানে যায় না এই কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাগুলো। কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারা এদের এমনভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে যে তাদের আর কিছু করার থাকছে না। বিরোধী দলের নেতার বিরুদ্ধে সারদা কর্তা বলেছেন তাঁর গ্রেফতারের আগের দিনও তার সঙ্গে টাকার লেনদেন হয়েছে। এসব তো লুকোছাপার ব্যাপার নয়। তাঁকে একবারও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। এমনকি তাঁর ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না তো! কখনও দেখিনি একটি রাজ্য থেকে কোনও তদন্তকারী দল অন্য রাজ্যে গেলে তদন্ত বাধা দেওয়া হয়। বিচারব্যবস্থার উপরে আমাদের আস্থা রয়েছে। কিন্তু আমাদের বিশ্বাস তাঁরা এটাও দেখবেন অনেক কিছুই তাদের চোখ এড়িয়ে যাচ্ছে। আগামী কাল ও পরশু বিকেল তিনটের সময় তৃণমূলের ছাত্র ও যুব সংগঠন ইডি, সিবিআইয়ের একপেশে কার্যকলাপের বিরুদ্ধে জেলায় জেলায় মিটিং মিছিল করবে।
পার্থকে বহিষ্কার করা হয়েছে, অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেবেন? চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, আমাদের দলের একটি সিস্টেম রয়েছে। যথাসময়ে এনিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঠিক সময়ে জানতে পারবেন।