অবশেষে জামিন পেলেন আরাবুল, দল ত্যাগ নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে
তেতাল্লিশ দিন পর অবশেষে শর্তাধীন জামিনে ছাড়া পেলেন বামনঘাটায় সিপিআইএম কর্মীদের বাসে হামলায় মূল অভিযুক্ত, তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার দশ হাজার টাকার বন্ডে, আরাবুলের শর্তাধীন জামিন মঞ্জুর করেছে আলিপুর জজ কোর্ট। এরপরে কি দলও ছাড়বেন তিনি? ঘনিষ্ঠদের নাকি তেমনই ইচ্ছের কথা জানিয়েছেন ভাঙড়ের প্রাক্তণ তৃণমূল বিধায়ক।
তেতাল্লিশ দিন পর অবশেষে শর্তাধীন জামিনে ছাড়া পেলেন বামনঘাটায় সিপিআইএম কর্মীদের বাসে হামলায় মূল অভিযুক্ত, তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার দশ হাজার টাকার বন্ডে, আরাবুলের শর্তাধীন জামিন মঞ্জুর করেছে আলিপুর জজ কোর্ট। এরপরে কি দলও ছাড়বেন তিনি? ঘনিষ্ঠদের নাকি তেমনই ইচ্ছের কথা জানিয়েছেন ভাঙড়ের প্রাক্তণ তৃণমূল বিধায়ক।
আদালতের সাড়ে তিন পাতার অর্ডার শিটে বলা হয়েছে- চিকিত্সার প্রয়োজন ছাড়া কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকায় ঢুকতে পারবেন না আরাবুল ইসলাম।
ভাঙড়ের কাশীপুর থানা এলাকায় বাড়ি এই তৃণমূল নেতার। স্থানীয় থানা এবং তদন্তকারী অফিসারের অনুমতি ছাড়া অন্য কোনও থানা এলাকাতেও যেতে পারবেন না আরাবুল।
এর আগে চারবার আলিপুর জজ কোর্টে খারিজ হয় আরাবুল ইসলামের জামিনের আবেদন। ভাঙড়ের তৃণমূল নেতার জামিনের আবেদন খারিজ করেছিল বারুইপুর আদালতও।
বামনঘাটা কাণ্ডের পরে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিল দল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দলকে পাশে পাননি প্রাক্তন বিধায়ক। সে জন্য জেলে বসেই ঘনিষ্ঠদের কাছে ক্ষোভও প্রকাশ করেন আরাবুল। দূরত্ব বজায় রাখতেই ভাঙড়ে মুখ্যমন্ত্রীর জনসভার ব্যানারে থাকা আরাবুলের নাম কালি দিয়ে মুছে দেওয়া হয়েছিল। আইনি লড়াইটা লড়েছেন দলেরই এক আইনজীবী নেতা। কিন্তু জেলের চার দেওয়ালের মধ্যে বসেই নাকি ঘনিষ্টদের কাছে দল ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন ভাঙড়ের দোর্দন্ডপ্রতাপ নেতা আরাবুল ইসলাম। শুক্রবার আলিপুর সেন্ট্রাল জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরেই হয়তো সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন আরাবুল।