আইনি জটিলতায় রাজ্যের পুলিস কর্মীর সন্তানদের জন্য সেনা ধাঁচের স্কুল

সেনা স্কুলের ধাঁচে এবার রাজ্যে পুলিস কর্মীদের সন্তানদের জন্য আলাদা স্কুল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ইতিমধ্যেই রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর এব্যাপারে চূড়ান্ত প্রজেক্ট রিপোর্ট তৈরি করেছে। তবে, মুখ্যমন্ত্রী চাইলেও আইনি জটিলতার কারণে এইসব স্কুলের একশো শতাংশ আসন পুলিস কর্মীদের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত রাখা যাচ্ছে না।

Updated By: Jun 4, 2014, 11:26 PM IST

সেনা স্কুলের ধাঁচে এবার রাজ্যে পুলিস কর্মীদের সন্তানদের জন্য আলাদা স্কুল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ইতিমধ্যেই রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর এব্যাপারে চূড়ান্ত প্রজেক্ট রিপোর্ট তৈরি করেছে। তবে, মুখ্যমন্ত্রী চাইলেও আইনি জটিলতার কারণে এইসব স্কুলের একশো শতাংশ আসন পুলিস কর্মীদের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত রাখা যাচ্ছে না।

পুলিস কর্মীদের জন্য পৃথক আবাসনের সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছিলেন। এবার তাদের সন্তানদের জন্য স্কুল তৈরির সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে রাজ্যের একাধিক জেলায় তৈরি করা হবে এই মডেল স্কুল। স্কুলের বৈশিষ্ট্য এখানে পুলিস কর্মীদের সন্তাদের জন্য থাকবে ভর্তির বিশেষ কোটা। প্রাথমিকভাবে একশো শতাংশ আসনই পুলিস কর্মীদের সন্তানদের জন্য রাখার কথা ভেবেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু, আইনজ্ঞদের মতে, শুধুমাত্র পুলিস কর্মীদের সন্তানদের জন্য আলাদা স্কুল তৈরি করলে সমস্যা হতে পারে। সেজন্য ঠিক হয়েছে পয়ঁত্রিশ থেকে চল্লিশ শতাংশ আসন পুলিস কর্মীদের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। বাকি আসনগুলিতে যে কেউ ভর্তি হতে পারবে। আইনজ্ঞদের পরামর্শ মেনে বদল করা হচ্ছে নামও। মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাব ছিল স্কুলের নাম হোক পুলিস মডেল স্কুল। কিন্তু, আইনজ্ঞদের পরামর্শ মেনে তা বদলে করা হচ্ছে মডেল পুলিস পাবলিক স্কুল। ইতিমধ্যেই স্বরাষ্ট্র দফতর এই সংক্রান্ত প্রস্তাব তৈরি করে ফেলেছে। আগামী মন্ত্রিসভার বৈঠকেই প্রস্তাবে অনুমোদনের শিলমোহর পড়তে চলেছে। প্রস্তাবে রয়েছে....

যৌথ উদ্যোগে স্কুল তৈরির জন্য রাজ্য সরকার শুধুমাত্র জমি দেবে

লিজে জমি দেওয়া হবে তবে, কত বছরের জন্য এবং কত টাকার বিনিময়ে জমি দেওয়া হবে তানিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে মন্ত্রিসভার বৈঠকেই

টেন্ডার ডেকে বেসরকারি সংস্থা বাছাই করা হবে

স্কুল তৈরির খরচ বহন করবে সংশ্লিষ্ট বেসরকারি সংস্থাটিই

বাকি ৬০ শতাংশ আসনে ছাত্রভর্তির দায়িত্ব ওই সংস্থার হাতেই থাকবে

প্রকল্প তদারকির জন্য একজন পরামর্শদাতা নিয়োগ করবে সরকার

প্রাথমিকভাবে বারাকপুর ও শিলিগুড়িতে দুটি স্কুল চালু হবে। পরে অন্য জেলাতেও তৈরি করা হবে এধরণের স্কুল।

.