মাওবাদী সন্দেহে গ্রেফতার ৫, এসটিএফের সাহায্যে গ্রে হাউন্ড
মাওবাদী সন্দেহে কলকাতা থেকে ৫ জনকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিসের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিসের বিশেষ মাওবাদী দমন বাহিনী `গ্রে হাউন্ড`-এর তরফে এই সন্দেহভাজন মাওবাদীদের শহরে থাকার বিষয়ে তথ্য পোয়েছিল এসটিএফ। অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিসের অফিসারদের উপস্থিতিতেই তাদের গ্রেফতার করা হয়।
মাওবাদী সন্দেহে কলকাতা থেকে ৫ জনকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিসের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিসের বিশেষ মাওবাদী দমন বাহিনী `গ্রে হাউন্ড`-এর তরফে এই সন্দেহভাজন মাওবাদীদের শহরে থাকার বিষয়ে তথ্য পোয়েছিল এসটিএফ। অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিসের অফিসারদের উপস্থিতিতেই তাদের গ্রেফতার করা হয়।
ধৃতদের মধ্যে এরাজ্যের কোনও মাওবাদী নেতা-কর্মী নেই বলে জানানো হয়েছে এসটিএফ-এর তরফে। ধৃতরা মূলত অন্ধ্রপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ে মাওবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত। বৃহস্পতিবার তাদের ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলা হয়। তারপর ট্রানজিট রিমান্ডে পাঠানো হবে অন্ধ্রপ্রদেশে। ধৃতদের মধ্যে একজনের নাম রামকৃষ্ণ। তবে, তিনি অন্ধ্রপ্রদেশের মাওবাদী রাজ্য সম্পাদক রামকৃষ্ণ নন বলে জানা গেছে। অন্ধ্রপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ে পুলিসি ধড়পাকড় শুরু হওয়ায় এই ৫ জন কলকাতায় আশ্রয় নিয়েছিল, নাকি অন্য কোনও কারণে তাঁরা শহরে এসেছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অন্যদিকে মাওবাদী সন্দেহে কাউকে রাস্তা খেকে আটক করার ক্ষেত্রে কিভাবে পুলিসের এতটা গাফিলতি হয় সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। বুধবারের ফিল্মি কায়দায় অপহরণের ঘটনা বদলে গেল পুলিসের গ্রেফতারির ঘটনায়। যদিও কলকাতা পুলিসের এসটিএফের করা এই কাজ প্রকাশ্যে এসে যায় সামান্য কিছু ভুলের জন্য। কলকাতা পুলিসেরই অন্য এক শাখার হাতে ধরা পড়ে যায় এসটিএফের এই নাটক।
ঘটনার সূত্রপাত হয় সকাল সাড়ে ১১টায়। ব্যস্ত কলেজ স্ট্রিটে প্রেসিডেন্সি কলেজের সামনে থেকে এক যুবককে মুখে রুমাল চাপা দিয়ে তুলে নিয়ে যান কয়েকজন। প্রত্যক্ষদর্শীরা একে অপহরণের ঘটনা মনে করেছিলেন। কয়েকজন বাধাও দিতে যান।
এরপরই ওই গাড়িটি বিভিন্ন রাস্তা ঘুরে এসএন ব্যানার্জি রোডে আসে। সেখানে আর একটি গাড়িকে ধাক্কা মারে। কলকাতা পুলিসের এক সার্জেন্ট গাড়িটি আটকান। দেখা যায় গাড়িটির সামনের ও পিছনের প্লেটের নম্বর ভিন্ন। যদিও কন্ট্রোল রুম থেকে নির্দেশ দেওয়া হয় গাড়িটি ছেড়ে দেওয়ার জন্য। বুধবার রাতে কলকাতা পুলিসের এসটিএফ স্বীকার করে নেয় মাওবাদী সন্দেহে ওই যুবককে তারা আটক করেছে। মাওবাদী সন্দেহে কাউকে আটক করার ক্ষেত্রে কিভাবে এতটা গাফিলতি হয় এবং গাড়িতে কেন দু`ধরণের নম্বর প্লেট নাগানো হয়েছিল তাকে ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।