গালিগালাজ, মারধর, জুতো ছোঁড়া, বেড়েই চলেছে অটোদৌরাত্ম্য

Updated By: Jul 22, 2015, 11:17 PM IST
গালিগালাজ, মারধর, জুতো ছোঁড়া, বেড়েই চলেছে অটোদৌরাত্ম্য

নির্দিষ্ট রুটে যাব না। খুচরো না থাকলে নেমে যেতে হবে। আজকাল এভাবেই চড়া সুরে নির্দেশ জারি করেন অটোচালকদের একাংশ। কথা না শুনলে যাত্রীদের সঙ্গে বচসা, গালিগালাজ, মারধর, জুতো ছুঁড়ে মারা।  দৌরাত্ম্য থেকে রেহাই নেই মহিলা, এমনকি শিশুদেরও।

কলকাতা ও শহরতলিতে এমন ঘটনা বেড়েই চলেছে। কলকাতা ও শহরতলির রাস্তায় যাঁদের নিত্য যাতায়াত , তাঁদের অনেকেই কোনও না কোনওভাবে  অটোদৌরাত্ম্যের শিকার। অতীত রেকর্ডও সেই কথা বলছে।

অটোদৌরাত্ম্য সিঁথি

১৬ অগাস্ট, ২০১২

তিন বছরের মেয়ে অদ্রিকাকে নিয়ে সিঁথির মোড়-কুঠিঘাট রুটের অটোতে উঠেছিলেন বরাহনগরের শর্মিষ্ঠা ঘোষাল।  ম্যানহোলে চাকা পড়ে দ্রুত ঘুরে যায় অটো। আর সেই ধাক্কায় অটো থেকে ছিটকে রাস্তায় পড়ে যায় ছোট্ট অদ্রিকা।  একটা হাত মায়ের হাতে ধরা। ছোট্ট অদ্রিকা তখন ঝুলছে।  বারবার অটোচালককে থামতে বলেন মা।   ভ্রুক্ষেপ করেননি অটোচালক।  বেশকিছুটা পথ হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয় শিশুটিকে। শেষ পর্যন্ত  কলার টেনে ধরলে অটো থামান চালক। ততক্ষণে মায়ের হাত ফসকে রাস্তায় পড়ে গিয়েছে ছোট্ট অদ্রিকা।

অটোদৌরাত্ম্য ঘোলা

১৩ অক্টোবর, ২০১২

পানিহাটি কলেজের সামনে বিটি রোড-মধ্যমগ্রাম রুটের অটো।  বাবা অসিত সাঁতরাকে নিয়ে অটোয় উঠেছিলেন ছেলে বরুণ সাঁতরা। খুচরো নিয়ে অসিতবাবুর সঙ্গে বচসা শুরু হয় অটোচালকের।  গালিগালাজ করেন অটোচালক। প্রতিবাদ করায় বরুণ সাঁতরাকে রীতিমতো মারতে শুরু করেন  অটোচালক। নাকের হাড় ভাঙে বরুণবাবুর।

অটোদৌরাত্ম্য তারাতলা

১৫ জানুয়ারি, ২০১৪

বেহালা চৌরাস্তা-রাসবিহারী র অটোতে ওঠেন বেসরকারি সংস্থার কর্মী এক মহিলা। অভিযোগ, তারাতলার কাছে খুচরো নিয়ে অটোচালকের সঙ্গে বচসা বাধে ওই মহিলার। হঠাতই মহিলার মুখে ঘুষি  অটোচালকের। নাকের হাড় ভেঙে যায় তাঁর।

অটোদৌরাত্ম্য তারাতলা

তারাতলা থেকে যাদবপুর রুটের অটোতে ওঠেন এক মহিলা। আনোয়ার শাহ রোডে লর্ডসের মোড়ে নামার সময় বাধে গোলমাল। সিগন্যাল পেরিয়ে অটো থামানো যাবে না।  যুক্তিতে অনড় থাকেন অটোচালক। প্রতিবাদ করায় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ। এরপর  জুতো খুলে মহিলাকে ছুড়ে মারেন অটোচালক। আঘাত লাগে মহিলার কানে ও হাতে ।

অটোদৌরাত্ম্য নিউটাউন

২০ জানুয়ারি, ২০১৫

ইউনিটেক বিল্ডিংয়ের সামনে অটোয় ওঠার আগেই খুচরো নেই বলে জানিয়েছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী সৌরভ মুখার্জি। চালক কথা দিয়েছিলেন, খুচরো করে দেবেন। অভিযোগ, নারকেলবাগান মোড়ে অটো থেকে নামলে ভোল বদলে যায় অটোচালকের। শুরু হয় বচসা। অভিযোগ, কুড়ি টাকার নোট হাতিয়ে নিয়ে নিয়ে চম্পট দেওয়ার চেষ্টা করেন অটোচালক। তাঁকে কোনওরকমে ধরে ফেললে খুচরো পয়সা ফিরিয়ে দেন চালক। কিন্তু তারপর?

 

.