সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানালো বাঘাযতীনের ঘটনা

Updated By: Mar 11, 2015, 10:25 AM IST
সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানালো বাঘাযতীনের ঘটনা

খাস কলকাতায় ফের শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী, শাশুড়ি, প্রতিবেশীকে কুপিয়ে আত্মঘাতী হলেন প্রাক্তন সেনাকর্মী। শরীরে অজস্র সেলাই নিয়ে হাসপাতালের বেডে শুয়ে মাঝেমধ্যেই শিউরে উঠছেন স্ত্রী, শাশুড়ি। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন আহত প্রতিবেশী। বলিউডের কোনও অ্যাকশন মুভিকে সহজেই হার মানাবে এই ঘটনা। সেই চিত্রনাট্য লেখা হল খাস কলকাতায়। যার বর্ণনা শুনে শিউরে উঠছে তিলোত্তমা।
কী সেই ঘটনা?

বাঘাযতীন স্টেশন রোডের চামেলি অ্যাপার্টমেন্ট। এমবিএ তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সাইনা চৌধুরী সবে ফিরেছেন কলেজ থেকে। ফ্ল্যাটের দরজা খুলতেই ঝাঁপিয়ে পড়লেন স্বামী আবদুল মতিন। বঁটি, দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন স্ত্রীকে। হতচকিত সাইনা ছুটে বেরিয়ে আসেন রাস্তায়। দা নিয়ে পিছনে ছুটতে থাকেন আবদুল। মতিনের হাত থেকে সাইনাকে উদ্ধার করতে বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন প্রতিবেশীরা। এদিকে, ফ্ল্যাটের ভিতর তখন চলছে রক্তারক্তি কাণ্ড। সাইনাকে না পেয়ে শাশুড়ি রোমি চৌধুরীকে কোপাতে থাকেন যুবক। রোমিকে উদ্ধারে এগিয়ে আসেন প্রতিবেশীরা। তাঁদেও ওপর চড়াও হন মতিন। মারাত্মক জখন হন এক প্রতিবেশী। তাঁকে সঙ্কটজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। আহত রোমিকে ভর্তি করা হয় বাঘাযতীন স্টেট জেনারেলে।

মতিনের ফ্ল্যাটে তখন একের পর এক ঘটে চলেছে রোমহর্ষক ঘটনা। উত্তেজিত জনতা মতিনকে তাড়া করে। তাদের আটকাতে চারটি গ্যাস সিলিন্ডার সিঁড়ি দিয়ে গড়িয়ে দেন মতিন। খুলে দেন একটি সিলিন্ডারের নব। জানলার কাচ ভেঙে ছুড়ে দিতে থাকেন উত্তেজিত জনতার দিকে। ভয়ে থমকে যান পাড়াপ্রতিবেশীরা। সারা গায়ে কেরোসিন মেখে তখন রীতিমতো দাপাচ্ছেন আবদুল। আগুন লাগিয়ে দেন শোওয়ার ঘরে। দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে আগুন। দরজা বন্ধ করে একহাতে বঁটি, অন্যহাতে কাঠ নিয়ে মতিন তখন পিছনের ব্যালকনিতে।

খবর পেয়ে চলে আসে যাদবপুর ও পাটুলি থানার পুলিস। মতিন তখন মারমুখী। দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকে পুলিস ও দমকল। আর রক্ষা নেই বুঝেই ব্যালকনি থেকে লাফ মারেন মতিন। যাদবপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

 

.