ফিরহাদের অশালীন মন্তব্য! রাজ্যপালের কাছে নালিশ জানাতে গেলেন বৈশাখি-শোভন
কিছুদিন আগেই কলেজের বাইরে ধর্নায় বসা পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম।
নিজস্ব প্রতিবেদন- গত কয়েক মাস ধরেই মিল্লি আল আমিন কলেজে অচলাবস্থা চলছে। হালফিলে সেই সমস্যা আরও জটিল হয়েছে। একদিকে ছাত্রীরা পরীক্ষা দিতে পারছেন না। অন্যদিকে সময়মতো বেতন পাচ্ছেন না অধ্যাপকরা। যার জেরে কয়েকদিন ধরে কলেজেরে গেটের বাইরে একদল পড়ুয়া ধর্নায় বসেছেন। কলেজের এমন সংকটের জেরে ইস্তফাও দেন অধ্যক্ষা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তার পর থেকেই তাঁকে অপমানজনক মন্তব্যের শিকার হতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাই এদিন তিনি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছে গিয়েছিলেন অভিযোগ জানাতে। সঙ্গী শোভন চট্টোপাধ্যায়। কলেজের সমস্যা নিয়েও রাজ্যপালের সঙ্গে আলোচনা হয়।
কিছুদিন আগেই কলেজের বাইরে ধর্নায় বসা পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম। তিনি পড়ুয়াদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। সেইসঙ্গে অধ্যক্ষাকে সমূলে উত্পাটিত করার ডাক দেন তিনি। তাঁর সেই মন্তব্যকে অসংবেদনশীল ও অশালীন বলে দাবি করে রাজ্যপালের কাছে এদিন নালিশ করেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেছেন, ''আমার ৪০-৪২ বছরের রাজনৈতিক জীবন। ৩০ বছরের বেশি সময় আমি জনপ্রতিনিধি হিসাবে কাজ করছি। এমন মন্তব্য একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি তথা জনপ্রতিনিধি কী করে করত পারেন আমার জানা নেই। এই ধরণের দায়িত্বজ্ঞাহীন মন্তব্য আমি ব্যথিত। ফিরহাদের মিল্লি আল আমিন কলেজের দায়িত্ব পাওয়ার পিছনে আমার অবদান ছিল। এই কলেজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন জনাব সুলতান আহমেদ। এমন একটি কলেজে দাঁড়িয়ে একজন মন্ত্রী কোনও মহিলা সম্পর্কে কী করে এমন মন্তব্য করলেন! এই মন্তব্য আমাকে যন্ত্রণা দিয়েছে। ওর আত্মসমালোচনা করা উচিত।''
আরও পড়ুন- পূর্ব মেদিনীপুরে 'শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ' জেলা পুলিস সুপার বদল
এদিন বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ''আমার উপাধি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই হয়তো এমন কথা বলার সাহস হল। খাতুন হলে বলতে পারতেন! তখন তো ভোটব্যাঙ্কের চিন্তা ঘুরত মাথায়। রাজ্যের মন্ত্রী হয়ে তিনি যা বলেছেন তার জবাব জনগণ দেবেন। ওনার শুভবু্দ্ধি উদয় হোক। এই আশা রাখি।'' এদিন বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায় ও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে শুনেছেন রাজ্যপাল। তিনি ব্যবস্থা গ্রহণ করারও আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।