বলাই রায়ের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বামমহল
রাজ্যের প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল বলাই রায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন হল। দীর্ঘদিন দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল বলাই রায়। সোমবার লেনিন সরনীর একটি নার্সিংহোমে অস্ত্রপচার হয় তাঁর। এরপর থেকেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে।
রাজ্যের প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল বলাই রায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন হল। দীর্ঘদিন দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল বলাই রায়। সোমবার লেনিন সরনীর একটি নার্সিংহোমে অস্ত্রপচার হয় তাঁর। এরপর থেকেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। বৃহস্পতিবার সন্ধে ৭ টা ৩৫ মিনিটে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন এই বিশিষ্ট আইনজীবি। বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।
শুক্রবার সকালে মানিকতলার বাসভবন থেকে তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে। সেখানে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান বিমান বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, সূর্যকান্ত মিশ্র সহ অন্য বাম নেতারা।
তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে সিপিআইএম নেতা নিরুপম সেন বলেন, "এর আগে বিনয় রায় চলে গেছেন। ওই যুগের যাঁরা ছিলেন, তাঁদের মধ্যে বলাই দা ছিলেন শেষ প্রতিনিধি।"
আলিমুদ্দিন থেকে বলেই রায়ের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় হাইকোর্টে। সেখানে শেষ শ্রদ্ধা জানান বিচারপতি ও আইনজীবীরা। শোক জ্ঞাপন করে লোকসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "এত বছর ধরে অ্যাডভোকেট জেনারেলের পদ যথার্থ ভাবে সামলেছেন তিনি। আমি তাঁকে আমার অন্তরের শ্রদ্ধা জানাই। তাঁর মৃত্যুতে ক্ষতি হল আইন জগতের।"হাইকোর্টেই প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেলের মরদেহে মাল্যদান করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেলমন্ত্রী মুকুল রায়। হাইকোর্ট থেকে বলাই রায়ের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানেই দেহদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।
গণতান্ত্রিক আইনজীবী সঙ্ঘের রাজ্য সভাপতি বলাই রায় ১৯৯৬ সালে বর্ধমান লোকসভা কেন্দ্র থেকে জিতে সিপিআইএমের সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর ২০০১ থেকে টানা ১০ বছর রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি।