গোঁ ভেঙে অধিগ্রহণের পথে সরকার

শেষপর্যন্ত জমি অধিগ্রহণে সায় দিল পরিবর্তনের সরকার। ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য। গতকাল ডিভিশন বেঞ্চে এই আবেদন জানিয়েছে রাজ্যের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর।

Updated By: Jan 17, 2013, 09:51 AM IST

শেষপর্যন্ত জমি অধিগ্রহণে সায় দিল পরিবর্তনের সরকার। ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য। গতকাল ডিভিশন বেঞ্চে এই আবেদন জানিয়েছে রাজ্যের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর।
জমি আন্দোলকনে কেন্দ্র করেই এ রাজ্যে ক্ষমতায় আসা তৃণমূল কংগ্রেসের। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে বারেবারেই ফিরে এসেছে, সরকার কোনও জমি অধিগ্রহণের করবে না। সে কথা হালের বেঙ্গল লিডসেও স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
 
কিন্তু উন্নয়নের স্বার্থে শেষপর্যন্ত অবস্থান বদল করতে বাধ্য হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ২০০৯ সালে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণের নির্দেশিকা জারি করেছিল তত্‍কালীন বাম সরকার। জমি অধিগ্রহণ নিয়ে রাজ্যজুড়ে বিরোধীদের জঙ্গি আন্দোলনে কার্যত কোনঠাসা হয়ে পড়া বাম সরকার অধিগ্রহণের কাজ শুরু করতে পারেনি। নতুন সরকার আসার পর এই জমি অধিগ্রহণ নিয়ে আর কোনও উদ্যোগই নেওয়া হয়নি। ইতিমধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের সেন্ট্রাল ক্যালকাটা সিটিজেন ওয়েলফেয়ার কমিটি একটি মামলা দায়ের করে। সেই সময় পরিবহণ দফতরের হাতে থাকা মেট্রোপ্রকল্প নিয়ে রাজ্য সরকারের বিশেষ উদ্যোগ ছিল না। বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্যের নির্দেশে জমি অধিগ্রহণের বিজ্ঞপ্তিটি খারিজ হয়ে যায়। দু`বছরের মধ্যে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা না হওয়ার কারণেই এই নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি। সেই রায়ের বিরুদ্ধেই বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধানবিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেছে রাজ্যের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর।
 
উন্নয়নের প্রশ্নে ইতিমধ্যেই বিতর্কের মুখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। রেল দফতরের হাতে থাকা এই প্রকল্প যদি জমি জটে আটকে যায়, তার জন্য রাজ্য সরকারই দায়ী থাকবে। সেই কারণেই জমি অধিগ্রনে শেষপর্যন্ত রাজ্য সরকার উদ্যোগী বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

.