Bhowanipore Double Murder: ধারের টাকা ফেরৎ চেয়েই খুন ভবানীপুরের দম্পতি, গ্রেফতার তৃতীয় অভিযুক্ত
নিহত অশোক শাহের কাছ থেকে তাঁর মেজো জামাইয়ের দূরসম্পর্কের আত্মীয়ের এক ভাই ১ লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিলেন। সেই টাকা ফেরত চাইছিলেন অশোক।
বিক্রম দাস ও পিয়ালি মিত্র : ভবানীপুর হত্যাকান্ডে তৃতীয় গ্রেফতার। দক্ষিণ কলকাতা থেকে গ্রেফতার করা হয় ওড়িশার বাসিন্দা ওই ব্যক্তিকে। অভিযোগ, খুনের ঘটনায় মূলচক্রীর বন্ধু ওই ব্য়ক্তি। খুনের জন্য তাকে ভাড়া করে নিয়ে আসা হয়।
তদন্তে উঠে এসেছে, টাকার বিষয়ে কথা বলতে খুনের আগের দিন শাহদের বাড়িতে এসেছিল মূলচক্রী। সেদিনই যাদের দিয়ে খুন করানো হয়, তাদের বাড়ি চিনিয়ে দিয়েছিল মূল অভিযুক্ত। মূল অভিযুক্তের বাড়ি হাওড়াতে। খুনিদের মধ্যে দুজনের বাড়িও হাওড়াতে মেজো জামাইয়ের দূর সম্পর্কের আত্মীয় ওই মূলচক্রী। মোবাইলের CDR থেকে পাওয়া সূত্রের ভিত্তিতেই হত্যাকান্ডের কিনারা করে পুলিস।
জানা গিয়েছে, এই খুনের পিছনে রয়েছে আর্থিক লেনদেন। তাতে বনিবনা না হওয়াতেই এই খুন। ভাড়াটে গুন্ডাকে সুপারি দেওয়া হয় খুনের জন্য। মূলত টাকা ধার দেওয়া নিয়েই সমস্যার সূত্রপাত। তারপর টাকা ফেরত চাইতেই মর্মান্তিক পরিণতি। জানা গিয়েছে, নিহত অশোক শাহের কাছ থেকে তাঁর মেজো জামাইয়ের দূরসম্পর্কের আত্মীয়ের এক ভাই ১ লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিলেন। সেই টাকা ফেরত চাইছিলেন অশোক।
কিন্তু সেই টাকা শোধ করার আগেই মৃত্যু হয় মেজো জামাইয়ের দূরসম্পর্কের আত্মীয়ের ভাইয়ের। এরপরই মেজো জামাইয়ের সেই দূরসম্পর্কের আত্মীয়র কাছে টাকা চান অশোক। কিন্তু কিছুতেই সেই টাকা ফেরত দিচ্ছিলেন না তিনি। উল্টে তারপরই টাকা না দিয়ে দুই ভাড়াটে গুন্ডাকে কাজে লাগিয়ে অশোক শাহ ও তাঁর স্ত্রী রশ্মিতা শাহকে মেজো জামাইয়ের দূরসম্পর্কের আত্মীয় খুন করে বলে অভিযোগ। আগের দিন লেনদেন নিয়ে বাড়িতে কথা বলতে আসার অছিলায় চিনিয়ে দেয় বাড়িও। খুনের ঘটনায় আরও কয়েকজনের জড়িত থাকার সম্ভবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিস।