বারকোড লাগানো নির্দিষ্ট রঙের ব্যাগে ফেলতে হবে করোনার চিকিৎসার বর্জ্য

দ্বিস্তরীও ব্যাগ ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বর্জ্যের ধরন অনুসারে কালো, লাল, নীল, হলুদ রঙের ব্যাগ ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

Reported By: তন্ময় প্রামাণিক | Edited By: সুদেষ্ণা পাল | Updated By: Jun 25, 2020, 11:39 PM IST
বারকোড লাগানো নির্দিষ্ট রঙের ব্যাগে ফেলতে হবে করোনার চিকিৎসার বর্জ্য
প্রতীকী ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা চিকিৎসার মেডিকেল বর্জ্যে এবার নজরদারি! করোনার চিকিৎসায় ব্যবহৃত টন টন মেডিকেল বর্জ্য নিয়ে জারি করা হল বিজ্ঞপ্তি। পিপিই, মাস্ক, গ্লাভস সহ ব্যবহৃত বর্জ্য নির্দিষ্ট বাগে ভরে তথ্য সহ বারকোড লাগানোর নির্দেশ দেওয়া হল রাজ্য সরকারের তরফে।

ব্যবহৃত পিপিই, মাস্ক, গ্লাভস সহ একাধিক বায়োমেডিকেল বর্জ্য নিয়ে নানান অভিযোগ উঠছিল। হাসপাতালের ভ্যাট থেকে এই ধরনের পরিত্যক্ত জিনিস চুরি হওয়ার অভিযোগ উঠছিল। এবার পরিতক্ত বর্জ্য প্যাকেটে ভরে বারকোড লাগিয়ে তা ফেলতে হবে। এই বারকোড স্ক্যান করলেই জানা যাবে সংশ্লিষ্ট মেডিকেল বর্জ্যের বিস্তারিত বিবরণ। কোন হাসপাতালে ব্যবহৃত হয়েছিল? কোন কোন কাজে ব্যবহার হয়েছিল? কোথায় ফেলে দেওয়া হবে? তার সবই লিপিবদ্ধ রাখা সম্ভব হবে সরকারের পক্ষে। বৃহস্পতিবার এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য সরকার।

সম্প্রতি চিকিৎসা বর্জ্য অপসারণের জন্য রাজ্যগুলিকে বারকোড ব্যবস্থা চালুর নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। কেন্দ্রের ওই নির্দেশিকা মেনে বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারও বিজ্ঞপ্তি জারি করল। পরিষ্কার করে সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা আছে যে ফেলে দেওয়া পিপিই কিট, মাস্ক, গ্লাভস, সানগ্লাস এবং অন্যান্য সামগ্রী অন্য কোনও জঞ্জালের সঙ্গে মেশানো যাবে না।

প্রসঙ্গত, দেশের সঙ্গে এরাজ্যেও বিভিন্ন হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিস যত্রতত্র পড়ে থাকা, চুরি হয়ে যাওয়া কিংবা বিজ্ঞানসম্মতভাবে না ফেলার অভিযোগ উঠছিল। এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অত্যন্ত সাবধানতার সঙ্গে নিয়ম মেনে এই সমস্ত বর্জ্য ব্যাগের মধ্যে ভরতে হবে। সেখানে বারকোড লাগাতে হবে। কোভিড সংক্রান্ত বায়োমেডিকেল বর্জ্য জমা করার জন্য দ্বিস্তরীও ব্যাগ ব্যবহারেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ব্যাগের উপর লেবেল লাগানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে সহজেই তা শনাক্ত করতে পারে সেন্ট্রাল বায়োমেডিক্যাল ওয়েস্ট ট্রিটমেন্ট ফেসিলিটি।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী কলকাতা শহরে প্রতিদিন ২৫ টনের বেশি বায়োমেডিকেল বর্জ্য তৈরি হয়। নির্দেশিকায় স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, কোনও বায়োমেডিকেল বর্জ্য অন্য জঞ্জালের সঙ্গে মেশানো যাবে না। যে বাক্সে ভরা হবে, সেখানে বিশেষভাবে চিহ্ন বা বারকোড লাগাতে হবে। সেই ব্যাগে কী রয়েছে, কোথা থেকে এসেছে তাও লিখে দিতে হবে ব্যাগের গায়ে। বিভিন্ন প্রকারের বর্জ্য ফেলার জন্য আলাদা আলাদা রঙের ব্যাগ বা বাক্স ব্যবহার করতে হবে। বর্জ্যের ধরন অনুসারে কালো, লাল, নীল, হলুদ রঙের ব্যাগ বা বাক্স ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

আরও পড়ুন, ১২ অগাস্ট পর্যন্ত বাতিল সব ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেন, ফেরত হবে টিকিটের টাকা

.