মোদী সভায় বিপর্যয়ের পর জেলা নেতৃত্বের কাছে রিপোর্ট চাইল রাজ্য বিজেপি
কয়েকদিনের মধ্যেই ৫-৬ জেলায় সভাপতি বদল করতে চলেছে বিজেপি।
অঞ্জন রায়
প্রধানমন্ত্রীর সভায় শামিয়ানা বিপর্যয়ের ঘটনায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দলীয় নেতৃত্বের কাছে রিপোর্ট চাইল রাজ্য বিজেপি। এর পাশাপাশি ৫-৬ জেলায় সভাপতি বদলের সিদ্ধান্তও নেওয়া হল রাজ্য নেতৃত্বের বৈঠকে। প্রসঙ্গত, মঞ্চ ও মাঠ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন বিজেপির দুই রাজ্য নেতা সঞ্জয় সিং ও রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার মেদিনীপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভায় ভেঙে পড়ে শামিয়ানার একাংশ। জখম হন অনেকে। এই বিপর্যয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে রাজ্য বিজেপি। এনিয়ে দিল্লি থেকে ইতিমধ্যেই রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। জানতে চাওয়া হয়েছে, সভার দায়িত্ব থাকা ব্যক্তিদের পূর্ব অভিজ্ঞতা কী ছিল? কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এহেন কড়া অবস্থানে ব্যাকফুটে রাজ্য বিজেপি নেতারা। প্রধানমন্ত্রীর সভায় বিপর্যয়ের দায় কার? কী কারণে এমনটা ঘটল? তা খুঁজে বের করতে পশ্চিম মেদিনীপুরে জেলা নেতৃত্বের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠালেন রাজ্য নেতারা। উল্লেখ্য, সভা আয়োজনের দায়িত্ব ছিলেন দুই রাজ্য সম্পাদক রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় ও সঞ্জয় সিং। তাঁরাও কি জবাবদিহির মুখে পড়বেন?
এদিনই আবার সংসদে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় সরাসরি বিজেপিকে নিশানা করেছেন। তিনি বলেন, ''সভায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের মাঝপথে ভেঙে পড়ে তাবু। আহত হন ৯০ জন। তাঁদের মধ্যে ৫০জনই মহিলাই। প্রধানমন্ত্রীর সভায় এমন নিকৃষ্ট ব্যবস্থাপনার দায় নিতে হবে বিজেপিকেই।''
এদিকে, কয়েকদিনের মধ্যেই ৫-৬ জেলায় সভাপতি বদল করতে চলেছে বিজেপি। বেশ কয়েকটি জেলায় সভাপতিদের বিরুদ্ধে উঠেছে একাধিক অভিযোগ। কোথাও টাকার বিনিময়ে দলীয় পদ বিক্রি, কোথাও আবার তৃণমূলের সঙ্গে গোপন আঁতাঁতের অভিযোগ উঠেছে সভাপতিদের বিরুদ্ধে। দক্ষিণ দিনাজপুরে তো দলীয় নেত্রী মৌসুমী মজুমদারের আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে বিজেপির জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকারকে। পঞ্চায়েত ভোটে দলীয় নেতৃত্বের ব্যর্থতা নিয়ে সরব হওয়ায় তাঁকে নানাভাবে কোণঠাসা করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। এমনকি শুভেন্দুর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানিরও অভিযোগ করেছিলেন মৌসুমী মজুমদার।
আরও পড়ুন- প্রধানমন্ত্রীর সভায় 'নিকৃষ্ট ব্যবস্থাপনা'র দায়ভার বিজেপির, সংসদে বললেন সৌগত