হাসপাতালে বন্ধ মোবাইল! রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালঞ্জ করে হাইকোর্টে অর্জুন
এই ধরনের নির্দেশিকা মহামারী আইনের পরিপন্থী বলে দাবি করেছেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা আবহে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। হাসপাতালে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ।
২২ এপ্রিল নিষেধাজ্ঞা জারি করে কোভিড হাসপাতালে মোবাইল ফোনের ব্যবহার বন্ধ করে সরকার। অবিলম্বে এই বিজ্ঞপ্তিকে খারিজ করার দাবি জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন অর্জুন সিং। এই ধরনের নির্দেশিকা মহামারী আইনের পরিপন্থী বলে দাবি করেছেন তিনি। এছাড়াও স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় একাধিক অনিয়মের অভিযোগ করেছেন বিজেপি সাংসদ। আগামী সপ্তাহেই মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, সংক্রমণ ছড়ানোর অন্যতম মাধ্যম হিসেবে মোবাইল ফোনকে কাঠগড়ায় তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে বিরোধীরা সরকারের এই সিদ্ধান্তকে তথ্য গোপনের চেষ্টা বলে সরব হয়েছে। উল্লেখ্য, আজ নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে ডেথ অডিট কমিটির রিপোর্ট পেশ করেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা।
রিপোর্ট পেশ করে মুখ্যসচিব জানান, করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজ্যে আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮। অডিট কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী-ই এই পরিসংখ্যান। অডিট কমিটি মোট ৫৭টি ডেথ কেস অডিট করেছে। যার মধ্যে ১৮টি মৃত্যু করোনায় হয়েছে বলে জানিয়েছে কমিটি। বাকি ৩৯টি ক্ষেত্রে মৃত্যুর কারণ অন্য। কো-মরবিডিটির জন্য মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। যদিও তাঁরা সকলেই করোনা পজেটিভ ছিলেন, তবে অডিট কমিটির রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ হিসেবে করোনার উল্লেখ নেই।
একইসঙ্গে মুখ্যসচিব আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৫১ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ মিলেছে। এই মুহূর্তে রাজ্যে করোনায় সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ৩৮৫। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান ও দুই মেদিনীপুর থেকে নতুন কেস এসেছে। ১৮ শতাংশ কেস হাওড়া থেকে এসেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কাউকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়নি। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মোট ১০৩ জন মানুষ করোনা সংক্রমণ থেকে সেরে উঠেছেন।
আরও পড়ুন, 'করোনা ঠেকাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ সরকার', মুখ্যমন্ত্রীকে এবার ১৪ পাতার পত্রবোমা রাজ্যপালের