রূপার ওপর হামলায় অক্সিজেন পেল বিজেপির প্রচার, এখনও অধরা অভিযুক্ত প্রতাপ সাহা
দলের স্টার ক্যাম্পেনার রূপা গাঙ্গুলির ওপর হামলার পর কলকাতা পুরভোটে ফুল ফর্মে প্রচারে নামল বিজেপি নেতৃত্ব। কয়েকটি ওয়ার্ডের প্রচারকে ছড়িয়ে দেওয়া হল গোটা দক্ষিণ কলকাতায়। উদ্দেশ্য একটাই, তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগটা আরও জোরাল করা।
পয়লা বৈশাখের সকালে বিজেপির নির্ধারিত প্রচার কর্মসূচি ছিল তিনটি ওয়ার্ডে। সেই প্রচার তাঁরা ছড়িয়ে দিলেন গোটা দক্ষিণ কলকাতায়। বাঘাযতীন থেকে হাজরা--ফুল মুডে ফুল ফর্মে বিজেপির ট্রায়ো রাহুল সিনহা, রূপা গাঙ্গুলি এবং বাবুল সুপ্রিয়। সন্ত্রাসের অভিযোগ অবশ্য মানতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব। মঙ্গলবারের ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। রূপা গাঙ্গুলির বিরুদ্ধেও পাল্টা অভিযোগ করেছে তৃণমূল।
কোনও হেলদোল নেই তৃণমূল নেতা প্রতাপ সাহার। উল্টে পুলিসকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন রূপা গাঙ্গুলির ওপর হামলার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, প্রচারে বেরোবেন তিনি। পারলে পুলিস গ্রেফতার করুক।রূপা গাঙ্গুলির ওপর হামলার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা প্রতাপ সাহা। বিজেপি তো তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেই, পুলিসও স্বতঃপ্রণোদিত মামলা শুরু করেছে। পুলিস কমিশনার এবং জেলাশাসকের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু কোথায় দোর্দণ্ডপ্রতাপ প্রতাপ সাহা?
পতাকা ছেঁড়ার যে অভিযোগে পুলিসের দ্বারস্থ তৃণমূল, সেই অভিযোগ কার্যত মেনে নিচ্ছেন রূপা গাঙ্গুলি নিজেও। সুষ্ঠ ভোট করার ব্যাপারে প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনকে বারবার বিজেপি নেতৃত্ব কাঠগড়ায় তুললেও সক্রিয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পুলিসের উপস্থিতিতেও রূপা গাঙ্গুলির ওপর কেন হামলা, তা নিয়ে পুলিস কমিশনার এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার জেলাশাসকের কাছে স্বতঃপ্রণোদিত রিপোর্ট তলব করেছে কমিশন।