Sukanta Mazumder: 'তৃণমূল কংগ্রেস এই ধর্মতলাকে নিজেদের পৈতৃক সম্পত্তি মনে করেছিল'!
প্রতিবছর ২১ জুলাই শহিদ দিবস পালন করে তৃণমূল। সভা হয় শহরের প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলায় সিএসইসি-র অফিস ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনেই। সেই একই জায়গায় সভা করল বিজেপি। সভায় হাজির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: 'ধর্মতলাটা নিজেদের পৈতৃক সম্পত্তি মনে করেছিল'। কলকাতায় শাহি সভা শেষে তৃণমূলকে নিশানা করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। জি ২৪ ঘণ্টার 'আপনার রায়' অনুষ্ঠানে বললেন, 'কোন গণতান্ত্রিক নিয়ম বলতে পারেন, কোনও একটি নির্দিষ্ট জায়গায় কেবলমাত্র একটি দল রাজনৈতিক সভা করবে! অন্য় কোনও দল সুযোগ পাবে না। একগালে সিঙ্গল বেঞ্চ থাপ্পড় মারল, সরকারের আর এক গালে ডিভিশন বেঞ্চে থাপ্পড়র মারল। দুই গাল লাল করে সরকার নন্দলাল হয়ে ফিরে এল'।
আরও পড়ুন: Assembly: তৃণমূলের ধরনার পাল্টা বিজেপির বিক্ষোভ, স্লোগান! নজিরবিহীনকাণ্ড বিধানসভা চত্বরে
প্রতিবছর ২১ জুলাই শহিদ দিবস পালন করে তৃণমূল। সভা হয় শহরের প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলায় সিএসইসি-র অফিস ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনেই। সেই একই জায়গায় সভা করল বিজেপি। সভায় বক্তব্য রাখলেন অমিত শাহ। কীভাবে? সভার অনুমতি দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। কিন্তু সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল থাকে।
সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'বাধা-হুমকি পোস্টারের পরেও বিপুল সংখ্যা লোক এসেছে। মনে রাখবেন ডিমভাতের লোভে আসেনি। আমরা গাড়ির মালিককে ফোন করে হুমকি দিই না, যে তেল খরচ দেব, তাঁকে আসতে হবে। না হলে লাইন থেকে বের করে দেব। আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের রেলও ভাড়া করি উপযুক্ত পয়সা দিয়ে'। জানান, 'পঞ্চাশ হাজারের মতো সভা চলাকালীন প্রতিবাদপত্র আমাদের কাছে জমা পড়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমা দেব, কীভাবে বাংলার মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন, তৃণমূলের চুরির জন্য়'।
এদিকে ধর্মতলায় বিজেপির সভাকে 'ফ্লপ শো' বলে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। সুকান্ত বলেন, 'তৃণমূল কংগ্রেসের কথা কে ধর্তব্যের মধ্যে আনবে! তৃণমূল কংগ্রেসের প্রত্য়েকটি নেতা-নেত্রীর জীবনই মিথ্যা দিয়ে সাজানো। মিথ্যা কথা ছাড়া আর কিছু নেই। তারা কী বললেন না বললেন, তাতে কার কী যায় আসে'!
তাঁর আরও বক্তব্য, 'বাংলার মানুষকে বোকা বানাচ্ছে। সে সিপিএমও বানিয়েছিল। টাটাদের হাত ভেঙে দাও, আমরা শুনেছিলাম। আজকে তো বুঝতে পারি, টাটারা লভ্যাংশের যত শতাংশ দেশের জন্য দান করে, সিপিএমের সব সদস্য সারাজীবন ধরে এত সমাজসেবা করে না। সাধারণ মানুষ বুঝতে পেরেছে, সেজন্য সিপিএমকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে। একসময়ে এই তৃণমূলকে ছুড়ে ফেলে দেবে। রাজনৈতিক ইতিহাসে পাতায় এরা একটা লাইন হয়ে থেকে যাবে'।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)